অনলাইন ডেস্ক : হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) টহলদল কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ৭০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় চোরাচালানি পণ্য জব্দ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারতীয় কসমেটিকস, ফুসকা ও বাংলাদেশি রাবার এবং কয়েল।
সোমবার (১০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান। এর আগে, ৮ ও ৯ নভেম্বর পৃথক অভিযানে ওই চোরাচালানি পণ্যগুলো জব্দ হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৫৫ বিজিবি জানতে পারে, সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাচালানি পণ্য বিভিন্ন এলাকায় পাচার হতে পারে।
এ সংবাদের ভিত্তিতে ৯ নভেম্বর ৫৫ বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদরের বিশেষ টহল দল সাতছড়ি-তেলিয়াপাড়া মহাসড়কের জগদীশপুর মুক্তিযুদ্ধ চত্বর নামক এলাকায় কৌশলগত অবস্থান নেয়। সন্দেহজনক একটি বালুর ট্রাক বিজিবির টহল দলের নিকটবর্তী হয়।
ট্রাকটিকে থামার সংকেত দিলে বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে চালক ট্রাকটি ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে বিজিবির সদস্যরা বালুর ট্রাকটি তল্লাশি করে অভিনব কায়দায় লুকানো ভারত হতে অবৈধ পথে আনা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার কসমেটিকস জব্দ করা হয়। যার মূল্য ৩৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা।
এছাড়াও ৮ নভেম্বর মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান বিওপির বিশেষ টহল দল রাজঘাট নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফুচকা জব্দ করে। যার মূল্য ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪০০ টাকা।
অপর পৃথক ২টি অভিযানে ৩০০ কেজি রাবার, ২১০ প্যাকেট কয়েল, ১টি মোটর সাইকেল এবং ৩টি বাইসাইকেল জব্দ হয়। যার মূল্য ১ লাখ ৫ হাজার টাকা।
৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং চোরাচালান ও মাদকদ্রব্যের আগ্রাসন থেকে দেশ ও সমাজকে রক্ষা করা। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চোরাচালানকৃত পণ্য জব্দ করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, বিজিবি সীমান্তে শুধু পাহারা নয়, জনগণের সহায়তায় অপরাধ দমনে আমরা দৃঢ়ভাবে কাজ করি। কেউ চোরাচালান ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের খবর পেলে দেরি না করে আমাদের জানানোর জন্য অনুরোধ করছি।
জব্দকৃত সব মালামাল এবং যানবাহন আইনানুগ প্রক্রিয়ায় হবিগঞ্জ কাস্টমস অফিসে হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছে। একই সঙ্গে চোরাচালানি চক্রকে শনাক্ত করতে বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

