বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবির, বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, সাবেক মেয়র মো. শাহাদাত হোসেন, আমতলী পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মতিয়ার রহমান, বেতাগী পৌরসভা সাবেক মেয়র এবিএম গোলাম কবির, বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাজ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ অলি, বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির, তালতলী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবি উল কবির জোমাদ্দারসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সাংবাদিক, আইনজীবী ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
তবে এই মামলায় ইতোমধ্যে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আক্তারুজ্জামান বাদলকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বুধবার অন্য একটি মামলায় জামিন পেয়ে বের হওয়ার পর তাকে জেল গেট থেকে আবার আটক করে থানা পুলিশ।
মামলার বাদী এস এম নইমুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ আসামিরা শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করে বরগুনা থেকে বিএনপিকে উৎখাত করতে মিছিল নিয়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার, টেবিল, টিভি ভাঙচুর করে।
অফিসের সামনের সড়কে মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্রে আসামিরা গান পাউডার দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। অনেক আসামি বিএনপি অফিসে ও বাইরে হাত বোমা ফাটায়।
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন বলেন, এ ঘটনা আমরা কিছু জানি না। মামলায় ঘটনা দেখিয়েছে ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ।
এ সময় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ছিল না। ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়।
এ সময় কমিটি ভেঙে দিয়ে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু সভাপতি, মো. জাহাঙ্গীর কবীর সাধারণ সম্পাদক ও গোলাম সরোয়ার টুকুকে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এরপর আর কমিটি হয়নি। এখন দেখছি বিভিন্নভাবে মিথ্যা, বানোয়াট মামলা দায়ের করে যাচ্ছে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ ও তাদের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীর নামে একটি মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় একজনকে আটক করা হয়ছে।
এ মামলায় আরও অনেক অজ্ঞাত আসামি রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে।