মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ইজতেমার প্রস্তুতি বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা মাঠের দায়িত্বে থাকা মো. ইউসুফ আলী।
মো. ইউসুফ আলী জানান, তিনদিনব্যাপী ইজতেমা আয়োজনের গোসলখানা, অজুখানাসহ অন্যান্য সকল ধরণের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। মাঠের কাজও শেষ হয়েছে, টুকিটাকি কিছু বিষয় আছে সেগুলো বুধবারের মধ্যে শেষ হবে। কেননা বুধবার বিকেল থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসা শুরু করবে এবং রাত ১০টার মধ্যেই সবাই চলে আসবে আশা করছি। রাতে সবাই ইজতেমা মাঠেই অবস্থান করবে। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ আদায়ের পরপরই শুরু হবে আনুষ্ঠানিকভাবে বয়ান। আর এই আম বয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ইজতেমার কাজ।
তিনি জানান, এবারে ইজতেমায় রংপুর জেলার ৮ উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের প্রায় অর্ধলাখ মুসল্লি অংশ নিবে। সেই সঙ্গে ঢাকার মুরব্বীরা উপস্থিত থাকবেন। প্রতিবছরের মতো এবারেও শুক্রবারে বড় জামায়াতের মাধ্যমে জুমার নামাজ আদায় হবে।
আগামী শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমার কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা রয়েছে এবং সেই সঙ্গে মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য এখান থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাবেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এবারে রংপুরে নগরীর আমাশু কুকরুল সড়কের পাশে নিউ জুম্মাপাড়া ঈদগাহ ময়দান ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় ১ মাস থেকে আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। ঈদগাহ ময়দানের পুরোটাই জুড়ে সামিয়ানা টানানো হয়েছে। মাঠ পূর্বে থেকে সমতল থাকায় এবারে একসঙ্গে ২০ থেকে ৩০ হাজার মুসল্লি মাঠে রাতে অবস্থান করতে পারবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক। মাঠের দক্ষিণে অযুখানা এবং সড়কের পূর্ব পাশ্বে পয়ঃনিষ্কাশনে শৌচাগার, পাম্প ও ট্যাংকি স্থাপন করা হয়েছে। ইজতেমায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মুসল্লিদের পয়ঃনিষ্কাশনে শৌচাগার, পাম্প ও ট্যাংকি স্থাপন করে অস্থায়ী গোসলখানা বানানো হয়েছে। ইজতেমার বিভিন্ন সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশন।
অন্যদিকে রংপুর জেলার দিনদিনব্যাপী ইজতেমাকে ঘিরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। ইজতেমা মাঠসহ আশপাশের এলাকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলা হয়েছে। পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও ইজতেমা সফল করতে স্বেচ্ছাসেবী সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, ইজতেমার নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে ইজতেমা আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। ইজতেমা নিয়ে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নেই। তারপরও নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।