
১২ মিনিটে মোরসালিনের করা গোলটি বাকি সময় ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। সেই কৃতিত্ব সিংহভাগই হামজা চৌধুরীর অবদান। এক কথায় ম্যাচটি ছিল হামজাময়।
গত ২৫ মার্চ ভারতে অনুষ্ঠিত ম্যাচ ড্র করে এসছিল বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে পাঁচ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট ঝুলিতে তুললো।
এএফসি এশিয়া কাপ বাছাই পর্বের এই ম্যাচটি কোনোভাবেই বাংলাদেশ এবং ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কারণ, আগেই এই দুই দল বাছাই পর্ব থেকে ছিটকে পড়েছে। তবে ঢাকা স্টেডিয়ামে বাংলাদশে এবং ভারত ম্যাচটি মর্যাদার লড়াই।
সেই মর্যাদার লড়াইয়ে অবশেষে জিতলো বাংলাদেশ। গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের সঙ্গে ড্র করে এসেছিল বাংলাদেশ। যেটা ছিল বাংলাদেশের জার্সিতে হামজা চৌধুরীর প্রথম ম্যাচ। কিন্তু এবার ঘরের মাঠে সেই ভারতকে পেয়ে হামজা চৌধুরা এবং সে সঙ্গে শামিত সোমরা মাঠ ছাড়লো জয়ের হাসি নিয়ে।
১২ মিনিটে মোরসালিনের গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও ভক্ত-সমর্থকদের শঙ্কা ছিল, শেষ মুহূর্তে না আবার গোল হজম করে বসে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা! কারণ, আগে গোল দিয়ে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে কত ম্যাচ যে জয় বঞ্চিত থাকতে হলো বাংলাদেশকে! যার সর্বশেষ উদাহরণ, চারদিন আগে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি। যেটাতে হামজার জোড়া গোল সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তের গোল ২-২ ব্যবধানে ড্র করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
তবে, এবার আর সে শঙ্কাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি ভারতীয়রা। মোরসালিনের দেয়া গোলের পর নিজেদের রক্ষণ জমাটবদ্ধ রেখেই জয় তুলে নিলো বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরু থেকে বাংলাদেশের পোস্ট লক্ষ্যে একের পর এক আক্রমণ সাজাচ্ছিল ভারত। কিন্তু ১২তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে দ্রুত গতিতে তিনজনকে কাটিয়ে ভারতের বক্সে ঢুকে যান রাকিব।
বাম দিক থেকে রাকিব যে ক্রসটি নেন তাতে দুর্দান্তভাবে কানেক্ট করেন মোরসালিন। ভারতীয় গোলরক্ষক এগিয়ে এসেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। গোল…। বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।
গত দুটি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে জয় ছিল না বাংলাদেশের। এরপর চলমান আসরে চার ম্যাচ গোলশূন্য। অবেশেষ বাংলাদেশ পেলো ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয় এবং এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয়।
