চলন্ত বাসে দাউ দাউ জ্বলে উঠল ভয়ানক আগুন! সিটে বসেই পুড়ে মারা গেলেন ২০ যাত্রী। অনেকে আবার প্রাণ বাঁচতে ঝাঁপ দিলেন জানালা দিয়ে। তাদের আহতাবস্থায় উদ্ধার করলেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানে।
রাজ্যের পুলিশ সূত্রে খবর, বিকেল তিনটার দিকে জয়সলম থেকে যোধপুরের দিকে যাচ্ছিল বাসটি। যাত্রী ছিলেন ৫৭ জন। মাঝপথে থাইয়াট গ্রামের কাছে হঠাৎই চলন্ত বাসটিতে আগুন লেগে যায়। যাত্রীরা চিত্কার শুরু করেন। ততক্ষণে জানালার কাঁচ ভেঙে লাফ দিয়েছেন অনেকেই।
এসময় অবস্থা বেগতিক দেখে বাস থামিয়ে দেন চালক। ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। প্রাথমিকভাবে তারাই উদ্ধার কাজ শুরু করেন। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু তার আগেই আগুনে পুড়ে অঙ্গার ২০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, যাত্রীদের অনেকেই বাস থেকে নেমে আসার সুযোগ পাননি। তাদের অনেকেই পুড়ে মারা গেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় আহত যাত্রীদের উদ্ধারের পর জয়সলমেরের জওহর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে বাসে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জয়সলমের জেলা প্রশাসন বলছে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
জেলা কালেক্টর প্রতাপ সিংহ আহতদের দ্রুত চিকিৎসা এবং সহায়তার জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালুর নির্দেশ দিয়েছেন।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় রাজ্যপাল হরিভাউ বাগাড়ে, মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত, বিজেপি রাজ্য সভাপতি মদন রাঠোরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা বলেছেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সম্প্রতি ভারতের হিমাচল প্রদেশে ধসের কবলে পড়ে যাত্রীবাহী একটি বাস। সে সময় পাথরে চাপা পড়ে প্রাণ হারান ১৫ জন যাত্রী। কয়েকদিন না যেতেই দেশটি আরেকটি বড় বাস দুর্ঘটনা।