স্টাফ রিপোর্টার : সাইফুল মিয়া গত ২২ এপ্রিল ইতালির উদ্দেশ্যে ঢাকা বিমানবন্দর হয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ভিসার জন্য তার খরচ হয় প্রায় সাত লাখ টাকা।
বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তার ভিসা চেক করে জানতে পারে সেটি ভুয়া। পরে তিনি ভিসা দেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
অবশেষে সেই অভিযুক্ত মাহবুবুর রহমানকে (৪০) আটক করেছে সিআইডি।
বুধবার রাতে সিআইডির মিডিয়া বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সিআইডি জানায়, ফরিদপুরের বাসিন্দা মো. সাইফুল মিয়াকে ইতালিতে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে চক্রটি তার বাবা বিল্লাল মিয়াকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী, ইতালিতে যাওয়ার জন্য মোট ২০ লাখ টাকা ঠিক করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে গত ৬ মার্চ তারা নগদ পাঁচ লাখ এবং দুই হাজার ১০০ ইউরো মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্যদের কাছে তুলে দেন।
সাইফুলের নামে ইস্যু হওয়া ইতালির ভিসা দেওয়ার শর্ত হয় যে, অবশিষ্ট টাকা সাইফুল ইতালি পৌঁছানোর পর দিলেই হবে।
গত ২২ এপ্রিল সাইফুল মিয়া ইতালি গমনের উদ্দেশে প্রতারক চক্রের দেওয়া বিমান টিকেট ও ভিসা নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন যে, মাহবুব ও তার সঙ্গীদের দেওয়া ভিসাটি জাল। ভুক্তভোগীরা তৎক্ষণাৎ তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের মোবাইল বন্ধ পায়।
একপর্যায়ে প্রতারিত বাবা ও ছেলে তাদের কাছে টাকা ফেরৎ চাইলে চক্রের সদস্যরা ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের নানা ভয়ভীতি ও হুমকি দেখায়।
এরপর বিল্লাল মিয়া বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন।
গ্রেফতার আসামি মাহবুবুর রহমানকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৩ নভেম্বর চক্রের প্রধান জোসনা খাতুন এবং সহযোগী মিলন মিয়াকে ইতোমধ্যে ঢাকা ও ফরিদপুর থেকে আটক করেছে সিআইডি।

