উদ্ধারকাজে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা অংশ নিয়েছেন। আহতদের নিকটস্থ হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় ভবনের ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করতে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
রাজধানীর বংশালের কসাইটুলী এলাকায় একটি পাঁচ তলা ভবনের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে তিন পথচারী নিহত হন। নিহতদের মধ্যে দুজন বাবা-ছেলে বলে জানা গেছে। তারা হলেন হাজি আব্দুল রহিম এবং মেহরাব হোসেন রিমন। এছাড়া মায়ের সঙ্গে বাজার করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফি। তার মা নুসরাত গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
বংশাল থানার ওসি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া রাজধানীর মুগদার মদিনা বাগে ভূমিকম্পে নির্মাণাধীন ভবনের রেলিং ধসে পড়ে মাকসুদ নামের এক নিরাপত্তাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জে দেয়াল চাপায় শিশু নিহত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূমিকম্পের সময় একটি টিনশেড বাড়ির দেয়াল ধসে পড়ে ফাতেমা নামে এক বছর বয়সি শিশুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগম আহত হন। নিহত ফাতেমা গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ইসলামবাগ এলাকার আব্দুল হকের মেয়ে।
ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম।
নরসিংদীতে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৫
নরসিংদীর সদর উপজেলার গাবতলী এলাকায় ভূমিকম্পের সময় বাড়ির সানশেড ভেঙে পড়ে ওমর (১০) নামে এক শিশু প্রাণ হারিয়েছে। একই ঘটনায় ওমরের বাবা দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা গেছেন।
ওমরের চাচা জাকির হোসেন বলেন, ভূমিকম্প শুরু হলে দেলোয়ার হোসেন তিন সন্তানকে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ঠিক তখনই সানশেড ভেঙে পড়ে তাদের ওপর। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বাবা ও ছেলেকে ঢামেকে আনা হলে চিকিৎসক ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে দেলোয়ারও মারা যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার মালিতা গ্রামে ভূমিকম্পে মাটির ঘরের দেয়াল ধসে কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। এছাড়া কাজীরচর নয়াপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে নাসির উদ্দিন এবং শিবপুরের জয়নগর ইউনিয়নের আজকীতলা গ্রামের ফোরকান মিয়াও ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন।
