বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার খইয়াছড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের পূর্ব খইয়াছড়া গ্রামের কলিমুল্লাহ ভেন্ডর বাড়ি মোহাম্মদ হানিফের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডাকাতদল দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে পরিবারের সদস্যকে জিম্মি করেছে৷ ঘরের কর্তা হানিফকে গামছা দিয়ে হাত, মুখ ও চোখ বেঁধে রাখে৷ ডাকাতরা ৬ জন ভিতরে প্রবেশ করে এবং বাইরে আরও কিছু অপেক্ষা করেছে। তারা সবাই মুখে মুখোশ ও পরনে শর্ট প্যান্ট পরা ছিল।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হানিফ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে পরিবারের সদস্যরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। রাত প্রায় আড়াইটার দিকে দরজার বাইরে শব্দ শুনতে পাই৷ রুমের লাইট জ্বালিয়ে দেখি দরজার বাইরে কেউ চলাচল করছে৷ রড দিয়ে দরজার তালা ভাঙার চেষ্টা করছে৷ তখন ডাকাত, ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করি৷ মুখে, মুখোশ ও পরনে শর্ট প্যান্ট পরা ৬ জন ডাকাত দল ঘরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে এবং আমাকে রড দিয়ে আঘাত করে।
তিনি আরও বলেন, ডাকাতরা আমাকে গামছা দিয়ে চোখ, হাত-পা বেধে ফেলে এবং মহিলাদের ঘাড়ে দেশীয় অস্ত্র ধরে রাখে এবং আমার ছোট বাচ্চাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এসময় আমার স্ত্রী থেকে আলমারির চাবি, তালা খুলে প্রায় ৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ৩টি মুঠোফোন নিয়ে যায়৷
জানতে চাইলে মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান মজুমদার বলেন, বসতঘরে ডাকাতির খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের একটি টিম। আমরা খইয়াছড়া ইউনিয়নে আলাদা টিম রেখেছি পুলিশের৷ আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি ডাকাত নিয়ন্ত্রণে৷
