
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কলেজ গেইটে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মিরসরাই থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক সালাউদ্দিন সেলিম চেয়ারম্যানের অনুসারী নিজামপুর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফয়সাল চৌধুরী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চেয়ারম্যান অনুসারী ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকারের গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার সকালে নিজামপুর কলেজে ২০২৪ ও ২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে ওই ঘটনা রাজনীতিতে রূপ নেয়। দুপুরে দমদমা এলাকায় এক ছাত্রকে ধরে নিয়ে আসায় বিকেলে ছাত্রদলের দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এরপর সন্ধ্যায় উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ান। এসময় রকেট লাঞ্চার দিয়ে হামলার অভিযোগ পাওয়া যায়। বাজারে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্মআহবায়ক ইলিয়াস হোসেন মাসুদ বলেন, রোববার সকালে ২০২৪ ও ২০২৫ ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে আমাদের গ্রুপের এক ছাত্রকে দমদমা থেকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। খবর পেয়ে উভয় পক্ষ কলেজ গেইটে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে ইউনিয়নের কয়েকজন সিনিয়র নেতা এসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। কিন্তু সন্ধ্যার আগে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানে অনুসারী নাঈম সরকার বারইয়ারহাট, মিরসরাই থেকে অস্ত্র-সস্ত্রসহ লোকজন জড়ো করে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। রকেট লাঞ্চারে যুবদল নেতা আরিফের গলার অংশ ঝলসে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকার বলেন, কলেজে ২৪-২৫ ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন বিএনপির অনুসারীরা ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিয়ে উসকানি দেয় এবং দু’জন সাধারণ ছাত্রকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরক্ষণে সাধারণ ছাত্ররা সেই শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে যুবদল নেতা জিয়া, আরিফ, রহিমের নেতৃত্বে আমাদের ওপর রকেট লাঞ্চার এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, নিজামপুর কলেজ ছাত্রদলের দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
