শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন তাজপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক ওই ছাত্রদলকর্মীর নাম মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে চাকমা জাহিদ (২০)৷
এর আগে, বারইয়ারহাট এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে তাহমিদ খান নিহত হন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাহমিদ খানের মা জোহরা বেগম ১২ ডিসেম্বর রাতে বাদি হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তিদের আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ছাত্রদলকর্মী চাকমা জাহিদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক বলেন, তাহমিদ হত্যার অন্যতম আসামি জাহিদুলকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে হত্যার ঘটনায় জাহিদ জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করেছে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে বারইয়ারহাট পৌরসভার জামালপুর রবিউল হক সওদাগর বাড়ির সামনের পানির ড্রেন থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আজ (রবিবার) জাহিদুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

