রোববার ( ২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মুন্সীগঞ্জ আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন গ্রেপ্তার মো. বাবুল। এর আগে আটক নুরুল ইসলাম নুরু শনিবার দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরির্দশক রাশেদ খান চৌধুরি।
তিনি বলেন, গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই দিনে দুই আসামি দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় ২১ ফেব্রুয়ারি সিরাজদিখান থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ থেকে সিরাজদিখান থানার মোল্লাবাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে আসার পথে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ডিসি প্রজেক্টের সামনে রাস্তার পৌঁছালে এই মামলার আসামি মো. রহিম (৩২) ও মো. আরিফ সরকার (৩০) অটোরিকশা থামিয়ে ওই গার্মেন্টসকর্মীকে পথরোধ করে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অটোরিকশা চালককে তাড়িয়ে দেয়। পরে উপজেলার বালুরচর ডিসি প্রজেক্টের ভেতরে ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে নিয়ে নুরুল ইসলাম নুরু (৩৫), মো. রহিম (৩২), মো. আরিফ সরকার (৩০), মো. বাবুল (৩৩) ও মো. সোলেমান (৩০) রাত ১১টা পর্যন্ত পালাক্রমে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাস্তায় চলমান একটি অটোরিকশায় তুলে দেয়।
এ ঘটনায় বাবুল ও নুরুকে আটক করেছে পুলিশ। এখনো তিন আসামি পলাতক রয়েছে।
নির্যাতনের শিকার ওই গার্মেন্টসকর্মী জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অটোরিকশায় তিনি স্বামী শাকিলের কাছে আসছিলেন। ডিসি প্রজেক্টের সামনে পৌঁছামাত্র অভিযুক্তরা অটোরিকশা থামিয়ে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে ডিসি প্রজেক্টের ভেতরে ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে ঝোপঝাড়ে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
২১ ফেব্রুয়ারি মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই নারী বলেন, আমাকে ভয় ভীতি দেখিয়েছে, মারধর করেছে। সে কারণে ৬ ফেব্রুয়ারি মামলা করতে পারিনি। তাই ২১ ফেব্রুয়ারি সিরাজদিখান থানায় মামলা করেছি। আমি ওই নরপশুদের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, গার্মেন্টসকর্মীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটক দুই আসামি দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি আসামিদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।