কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, “জুরাইন এলাকায় অটোরিকশা চালকরা ১১টা থেকে রেললাইন দখল করে অবরোধ শুরু করেন। এর ফলে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু ও নারায়ণগঞ্জ রুটে কোনো ট্রেন চলাচল করতে পারছে না।”
এদিকে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবুজ সংকেত না দেওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান।
দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলে তারা ওই এলাকা থেকে সরে গিয়ে অন্যত্র অবস্থান নেন। এর ফলে কমলাপুর শহরতলি স্টেশনে ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনা রুটের যাত্রীরা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে বাধ্য হন।
শ্যামপুর থানার ডিউটি অফিসার এস আই নাজমুন নাহার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মহাখালী রেলগেট এলাকায় অটোরিকশা চালকদের অবরোধের কারণে ছয় ঘণ্টা ধরে ট্রেন এবং অন্য সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল, যা যাত্রীদের জন্য বিরাট দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছিল।
গত সোমবারও তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাখালীর আরজতপাড়ায় রেললাইন অবরোধ করেছিলেন। সেই সময় দুর্বৃত্তরা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করায় অনেক যাত্রী আহত হন এবং ট্রেনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এছাড়া, ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট ঢাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেয়। আদালত বলে, “ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তাই এটি অবৈধ।” এর পরদিন রিকশাচালকরা সড়কে তাদের চলাচল অব্যাহত রাখার দাবিতে দয়াগঞ্জ মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।