
সোমবার (২৫ আগস্ট) নগরীর কোর্ট এলাকা থেকে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত অপহরণকারীদের গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে আরএমপির মুখপাত্র গাজিউর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন : নুর ইসলাম (২৭), মো. টিটু (৩০), সাজিদুর রহমান সাজিদ (২১), রাজন ওরফে কাওছার (২২), মো. তারেকুল ইসলাম (৫৫), মো. রেজা আলম (১৮), রাকিব মহসিন ওরফে রিয়াদ (২২)। তারা সবাই রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া অপর আসামি মো. ওমর আলী (৫০) রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার নরসিংপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গত রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে জেলার বাগমারার নরসিংপুর গ্রামের সোহেল রানা মামলার বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে রাজশাহী কোর্টের প্রধান ফটকের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা সোহেল রানার ছোট ভাইয়ের কাছে মোবাইলে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এসময় তারা ভুক্তভোগীকে মারধর করে এবং সেই শব্দ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার ছোট ভাইকে শুনিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় অপহৃত সোহেল রানার স্ত্রী দ্রুত রাজশাহী মহানগর ডিবি পুলিশকে অবগত করলে, ডিবি পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করে।
পুলিশ আরও জানায়, পরে অপহরণকারীরা কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন কোর্ট স্টেশনের জামাল চত্বরে সোহেল রানার স্ত্রীকে মুক্তিপণের টাকা আনতে বলে। তিনি বিষয়টি ডিবি পুলিশকে জানালে, ২৫ আগস্ট সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে আড়ালে থাকা ডিবি পুলিশের এসআই মো. শাহ্ আলী মিয়া ও তার টিম মুক্তিপণের টাকা নিতে আসা অপহরণকারী নুর ইসলাম ও রাজন ওরফে কাওছারকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ভুক্তভোগীকে রাজপাড়া থানার মহিষবাথান উত্তরপাড়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডিবি পুলিশের টিম সেখানে অভিযান পরিচালনা করে সোহেল রানাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে টিটু, সাজিদুর, তারেকুল, রেজা ও রাকিবকে আটক করা হয়। ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি ওমর আলী, মাসুদ রানা এবং আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের টিম অভিযান চালিয়ে রাজপাড়া থানার ঝাউতলা মোড় এলাকা থেকে পলাতক আসামি ওমর আলীকে গ্রেফতার করে।
আরএমপির মুখপাত্র গাজিউর রহমান বলেন, গ্রেফতার অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় একটি অপহরণ মামলা রুজু করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
