এ সময় তিনি রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনে চিকিৎসকদের পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানান।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শহীদ ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে ‘জুলাই বিপ্লবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, বিগত সময়ে সব ক্ষেত্রে রাজনীতিকরণ করা হয়েছিল। চিকিৎসাক্ষেত্রেও রাজনীতি ঢুকিয়েছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরোধিতা করে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসকদের একটি অংশ শান্তি সমাবেশ করেছিল।
আগামীতে যেন চিকিৎসাক্ষেত্রে কোনও রাজনীতি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আন্দোলনে ঢামেক শিক্ষার্থীদের অবদান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৫ জুলাই যখন আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করি, তখন খুবই আতঙ্কে ছিলাম। ১৬ জুলাই সকালে দেখি রাজু ভাস্কর্যে ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে এসেছেন, তাদেরকে দেখে আমরা অনুপ্রেরণা পাই। তারা অনেক বেশি ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের ধন্যবাদ দিতে পারিনি, তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ। তাদের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ঢামেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. কামরুল আলম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় চিকিৎসকদের বিশেষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে রোগীদেরকে সেবা দিতে হয়েছে।
চিকিৎসকরা ছবি তোলাও সাহস পায়নি। ভয়ের সাথে সেবা নিয়েছেন, কে জানি ছবি তুলে বাইরে প্রচার করে দেয় এবং ক্ষতি করবে। তারপরও নীরবে সেবা দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময় যারা আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছিল, তারা কেউ চিকিৎসকদের আত্মীয়-স্বজন নয়। এরা অধিকাংশ মানুষই রিকশাচালক, সিএনজি চালক বা পথচারী। এই রোগীদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব বাদ দিয়ে চিকিৎসা দিয়েছেন এখানের দায়িত্বরতরা। তারা প্রতি মুহূর্তে আহতদের চিকিৎসা দিয়ে গেছেন।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, বিপ্লবে ঢামেকের বড় অবদান থাকলেও ৫ আগস্টের পরে আমরা সেভাবে স্বীকৃতি দিতে পারিনি। জাতির কাছে এই অবদান তুলে ধরতেই আজকের এই আয়োজন।
চিকিৎসা খাতে রাজনীতি চান না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৪ আগস্টে প্রতিটি মেডিকেলে শান্তি সমাবেশ করেছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) দালাল চিকিৎসকরা। আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগ প্রতিটি খাতে রাজনীতি প্রবেশ করিয়েছে। আর স্বাস্থ্য খাতকে পুরোপুরি কব্জায় নিয়েছে। আমরা চিকিৎসা খাতে আর কোনো রাজনীতি চাই না।