স্টাফ রিপোর্টার : র্যাব-৭ এঁর পৃথক দুটি মাদকবিরোধী অভিযানে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে ৩৭১০ পিস ইয়াবাসহ একজন এবং ফেনীর মহিপাল এলাকায় ১০ কেজি গাঁজাসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এবিষয়ে র্যাব-৭ এঁর সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) এআরএম মোজাফফর হোসেন জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, কিছু মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার বাস স্ট্যান্ড যাত্রীছাউনি এলাকায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল সেখানে উপস্থিত হওয়া মাত্র র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামি বেবি বেগম'কে (৫৩) গ্রেফতার করে হেফাজতে নেয়। সে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার হাটখোলা গ্রামের মুজাফফর খানের স্ত্রী। পরে গ্রেফতারকৃত আসামি তার হেফাজতে থাকা ভ্যানেটি ব্যাগের ভিতরে ২০টি নীল রং এর প্যাকেট হতে মোট ৩৭১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
অপরদিকে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, কিছু মাদক ব্যবসায়ী ফেনী মডেল থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল ব্রিজের নিচে পাকা রাস্তার উপর মাদকদ্রব্য সহ গাড়িতে উঠার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে র্যাব-৭ এর আভিযানিক দলের সদস্যরা সেখান থেকে দুইজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার জয়দেবপুর গ্রামের ফরিদ খন্দকারের ছেলে পলাশ খন্দকার (২৬) ও মাগুরা জেলার সদর থানার কাটাখালী গ্রামের মশিয়ার মোল্লার মেয়ে রেশমা খাতুন (১৯)। পরে তাদের হেফাজতে থাকা ০১টি প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতর হতে পলিথিনের ভিতর কসটেপ দ্বারা মোড়ানো ২০টি বান্ডেলে মোট ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সুকৌশলে মাদকদ্রব্য খাগড়াছড়ি এবং ফেনী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে কম দামে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বেশি দামে বিক্রয় করে আসছিলো।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক বাজার মূল্য বার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের এবং জব্দকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বুধবার একজনকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এবং দুই জনকে ফেনী মডেল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।