শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়েই পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে চান বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরবাসীকে একটা সুন্দর, ক্লিন, গ্রিন এবং হেলদি সিটি উপহার দিতে চাই। তবে এটা একার পক্ষে সম্ভব নয়। এই যুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে থাকবে।’
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নগরের আন্দরকিল্লাস্থ কদম মোবারক সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নগরের উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের সহায়তা চান তিনি।
চসিক মেয়র বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক বিভাগের কাজ করেছে। শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচারী সরকার পতনের জন্য রাস্তায় যুদ্ধ করেছে। এই চট্টগ্রাম শহরকে সুন্দর করার জন্য প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের আরেকবার প্রস্তুত হতে হবে। ইনশাল্লাহ আমি আশা করছি, শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমি একটি ক্লিন, গ্রিন এবং হেলদি সিটি নগরবাসীকে উপহার দিব।’
নৈতিক শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জ্ঞান অন্বেষণ করো; জ্ঞানের জন্য কোন বয়স নেই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের শিখতে হবে। মানে পুরো জীবনেই আমাদের জ্ঞান অন্বেষণের জন্য সংগ্রাম করতে হয়। পুরো জীবনটাই আমাদের একটা সংগ্রাম যুদ্ধ। তবে এর মধ্যে যে জিনিসটি দরকার সেটি হচ্ছে— নৈতিক শিক্ষা। শিক্ষার্থীদের আলোকিত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তাহলেই আমরা একদিন দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে পারবো।’
নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে দোকানগুলোতে বিন রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘অনতিবিলম্বে নগরের যতটি দোকান-প্রতিষ্ঠান আছে; তারা ময়লার বিন বাধ্যতামূলকভাবে রাখছে কি না তা দেখা হবে। ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিন কালেকশন করা হচ্ছে। তারা যাতে যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে। আর ফেললে তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে। আইন শুধু পকেটে নিয়ে ঘুরলে হবে না। মাঝে মধ্যে আইনের প্রয়োগ করতে হবে দেশকে বাঁচানোর জন্য, দেশকে সুন্দর করার জন্য এবং পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য।’
অনুষ্ঠান শেষে স্কুল প্রাঙ্গণ ঘুরে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন চসিক মেয়র। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টিংকু কুমার ভৌমিক, আলাউদ্দিন আল নুর, এম. এ. হালিম বাবুল, সাজ্জাদ শরীফ, ইমরান জুয়েলসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।