এর আগে গতকাল রোববার দিবাগত রাত ৯টার দিকে ডেফলাই এলাকা থেকে অভিযুক্তকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
অভিযুক্তের নাম মো. বাবুল মিয়া (৫২)। বাবুল মিয়া উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের মধ্য ডেফলাই গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর ছেলে।
এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী উপজেলার শালচূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং অভিযুক্তের দূরসম্পর্কের ভাতিজি।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে রোববার দিবাগত রাতে মো. বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে এ মামলায় পুলিশ তাকে আটক দেখায়।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, বাবুল মিয়া আমার প্রতিবেশী ও দূরসম্পর্কের দেবর। তার চারিত্রিক অনেক সমস্যা রয়েছে। ইতিপূর্বে তিনি এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটিয়েছেন।
গত ১৭ জুন (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টার দিকে অভিযুক্ত বাবুলের গোয়াল ঘরে ডেকে নিয়ে আমার মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তাকে ধর্ষণ করে।
বিষয়টি আমরা জানার পর মান-সম্মানের ভয়ে চুপ ছিলাম। কিন্তু রোববার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত ৯টার দিকে আমার মেয়ে ঘরের বাইরে বের হলে পুনরায় সে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এবং কুপ্রস্তাব দেয়।
এ সময় আমার মেয়ের ডাক-চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে বাবুল মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমীন বলেন, এ ঘটনায় থানায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে বাবুল মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। পরে বাবুলকে শেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়। ভুক্তভোগী মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।