এ ঘটনায় নিহত কুলছুমার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ৯ নম্বর ভাংনামারী ইউনিয়নের দুর্বার চর গ্রামে শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আপনজনদের হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন নিহতদের স্বজনরা।
রোববার (৩০ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে গৌরীপুর উপজেলা চন্দ্রপাড়া ও সদর উপজেলার সাহেব কাচারী-সংলগ্ন ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দুর্বাচর গ্রামের প্রয়াত ওবায়দুর রহমানের স্ত্রী কুলছুমা বেগম (৯৫), তার মেয়ে স্ত্রী দিলরুবা (৪০), নাতী দিলরুবা (৭) ও রীতি (১৪)।
নিহতদের পারিবারিক সূত্র জানা গেছে, নিহত কলছুমা বেগম মেয়ে ও নাতিদের সঙ্গে ময়মনসিংহ নগরীর নাটকঘর লেন এলাকায় জামাতা মানিক মিয়ার বাসায় বসবাস করতেন। সেখান থেকে গতরাতে সেহেরি খেয়ে ঈদ করার জন্য গ্রামের বাড়ি দুর্বার চরে যাচ্ছিলেন। পথেই ঘটে এই দুর্ঘটনা।
স্থানীয় সরকারি চাকরিজীবী মো. আমিনুল ইসলাম শোক প্রকাশ করে বলেন, একসঙ্গে মা, মেয়ে ও দুই নাতনির মৃত্যুর ঘটনা মর্মান্তিক। এই ঘটনায় পুরো গ্রামজুড়ে শোকাবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত শ্যমলী আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, দাদিকে নিয়ে আমরা সাতজন অটোরিকশায় বাড়িতে আসছিলাম। পথে হঠাৎ একটি বাস আমাদের পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এখন আমি কাকে নিয়ে ঈদ করব, বলেই আহাজারি শুরু করেন শ্যমলী।
এদিকে সরেজমিনে নিহতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, একসঙ্গে চার স্বজন হারানোর বেদনায় বাকরুদ্ধ প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনরা। সবাই যেন নিরব নিস্তব্ধ। তাদের স্বজন হারানোর বেদনায় সহমর্মিতা জানাতে ছুটে এসেছেন প্রতিবেশী ও গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।
এ সময় বাড়ির আঙিনায় একসঙ্গে পাশাপাশি চারটি কবর খুড়ছেন বেশ কতক লোক। উঠানে পাশাপাশি রাখা হয়েছে মরদেহ রাখার চারটি খাটিয়া। আর বাড়ির ভেতরে ঘরে বসে স্বজন হারানোর বেদনায় বিলাপ করছেন নারীরা। এতে ভারি হয়ে উঠেছে বাড়িটির পরিবেশ।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম খান বলেন, মৃতদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।