সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতের ঘটনায় নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী ঘটনাস্থলে দেওয়া বক্তব্য থেকে সরে এসেছে। থানায় নেওয়ার পর সে বলছে, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ নয়, তাকে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাকিব নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে ওই স্কুলশিক্ষার্থী ছোটভাই ও বন্ধুকে নিয়ে গুলিয়াখালী সৈকতে বেড়াতে যায়। গাড়ি থেকে নেমে সৈকতে যাওয়ার সময় চার যুবক তাদের পথরোধ করে ছাত্রীকে জোর করে জঙ্গলে নিয়ে যায়। এ সময় ছাত্রীর সাথে থাকা ছোটভাই স্থানীয়দের বিষয়টি জানালে তারা জঙ্গলে খোঁজাখুঁজি করে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলে মেয়েটি গণধর্ষণের অভিযোগ তুলে।
সেই সময় সে জানায়, তার বন্ধুকে একটি গাছের সাথে বেঁধে চার বখাটে তাকে ধর্ষণ করে। তার ছোটভাইও একই কথা বলে। অন্যদিকে স্থানীয়রা বিষয়টি থানাকে জানালে পুলিশের একটি দল গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় মেয়ের সাথে থাকা বন্ধু রাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ।
এদিকে থানায় এসে আগের দেওয়া বক্তব্য থেকে সরে আসে ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেছে, কয়েকজন যুবক ওই ছাত্রীকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। মানুষজন চলে আসায় দুর্বৃত্তরা ব্যর্থ হয়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ভিকটিম ও তার মাকে আমরা বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা প্রত্যেকবার একইভাবে ঘটনার বর্ণনা দেন। তাদের দেয়া বক্তব্য অনুযায়ী, মেয়েটিকে চারজন বখাটে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা জেনে গেলে বখাটেরা মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনার অধিকতর তদন্ত চলমান রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।’