
অনলাইন ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় এক মিশুক চালকের কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় আটক তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুকের আদালতে আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন বলে জানান ডিবির এসআই নাজমুল হক।
মঙ্গলবার থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন : সলঙ্গা থানার চকনিহাল গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে শাহেব আলী (২৫), একই গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান সরকার (৪৪) এবং তাড়াশ উপজেলার ওয়াসিন গ্রামের আব্দুল বাহেরের ছেলে আব্দুল আজিজ প্রামানিক (৩১)।
নিহত মিশুক চালক আমিরুল ইসলাম (২০) অলিদহ গ্রামের প্রয়াত আহম্মদ আলী ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হক বলেন, গত ৫ অগস্ট দুপুরে আমিরুল মিশুক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরে স্বজনরা অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি।
এ ঘটনায় সলঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন স্বজনরা। পরে গত ১০ অক্টোবর বিকেলে চকনিহাল গ্রামের একটি ডোবার কচুরিপানার নিচ থেকে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে লাশের প্যান্ট দেখে আমিরুলকে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় সলঙ্গা থানায় মামলা হলে তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হক বলেন, বুধবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে ছিনতাই হওয়া মিশুকের বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।