
উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মিরশানী ইসলামিয়া ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন : ওই নারীর স্বামী নোয়াখালীর সুধারাম থানার রামহরিতালুক গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রাজু আহাম্মেদ (২৬), একই এলাকার মৃত সিরাজ মাঝির ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫), আবুল কাশেমের ছেলে হৃদয় (২৫), চান মিয়া মাঝির ছেলে মহিন (২৬), একই উপজেলার মুন্সিতালুক গ্রামের শাহ আলমের ছেলে আবুল কালাম (৪৫)।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে রাজুর সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর তিনি জানতে পারেন রাজু নেশাগ্রস্ত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। অক্টোবরের প্রথম দিকে এ নিয়ে রাজুর পরিবারের সঙ্গে সালিশি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে রাজু আর নেশা করবেন না বলে স্ত্রীকে কথা দেন।
গত ১৫ অক্টোবর স্বামী রাজু তার স্ত্রীকে কুমিল্লা শহরে থাকার কথা বলে চৌদ্দগ্রামের কালিকাপুর ইউনিয়নের মিরশানী ইসলামিয়া ইটভাটায় নিয়ে আসেন। সেখানে তারা শ্রমিক হিসেবে কাজ নেন। তাদের থাকার জন্য অভিযুক্ত বেলালের সহযোগিতায় একটি ঘর ভাড়া নেন তারা। গত ১৬ অক্টোবর রাত ১০টায় বেলাল ও আবুল কাশেম তাদের ঘরে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর তার স্বামী মুখ চেপে ধরেন। এক পর্যায় বেলাল তাকে ধর্ষণ করেন।
লোকলজ্জার ভয়ে তিনি বিষয়টি কাউকে জানাননি। ১৮ অক্টোবর হৃদয় ও মহিন উদ্দিন তাদের ঘরে প্রবেশ করেন। স্বামীর সহযোগিতায় একই কায়দায় হৃদয় ও মহিন উদ্দিন তাকে ধর্ষণ করেন। ২০ অক্টোবর রাতে হৃদয় আবারও তাদের ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তার চিৎকার-চেচামেচি শুনে হৃদয় পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভুক্তভোগী নারী শুক্রবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন।
শনিবার সকালে ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে তার স্বামী রাজুসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
