অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল নেতা মো. মাসুদ বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে বিগত ১৭টি বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলের জন্য লড়াই করে গেছি।
বহুবার কারাবরণ করেছি। নির্যাতিত হয়েছি। কত রাত যে, নিজের বাসায় ঘুমাতে পারিনি, কতদিন বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানের মুখ দেখিনি তা বলে শেষ করা যাবে না।
প্রিয় নেতা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর ভাইয়ের নির্দেশনায় প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম ও হরতাল-অবরোধে মাঠে সক্রিয় ছিলাম। এখনো আছি।
কিন্তু দূঃখজনক সত্য যে, বিগত ৫ই আগস্টের পরে আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় একশ্রেণীর তথাকথিত মানুষ যারা ১৭ বছর স্বৈরাচারের সাথে আতাত করে চলেছে, তারাই এখন বিভিন্ন পাড়ায় মহল্লা কমিটির নামে স্ব-স্ব এলাকায় সক্রিয় থেকে ৭ সিন্ডিকেট এবং ১০ সিন্ডিকেট গঠণের মাধ্যমে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার পাশাপাশী বিএনপি-যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের লোকদের বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না, উল্টো প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্যদিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে বিভ্রান্তও করছে। যারা এসব করছে, ৫ই আগস্টের আগে তো তারা ছিল না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমানের কাছে আমার আকুল আবেদন আপনি এগুলো খতিয়ে দেখেন। দুঃসময়ে মামলা-হামলার শিকার যারা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছে, এরা কারা?
একইসাথে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, একাত্তরের কিছু ঘাতকরা পাড়ায-মহল্লায় কমিটির নামে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভ্রান্ত তথ্য দিয়ে দুঃসময় যারা মামলা-হামলার মাধ্যমে জীবন পার করছে, তাদেরকে এখন তারা হয়রানি করছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ আপনারা বিভ্রান্ত না হয়ে যাচাই-বাচাই করুন। আমরা এহেন হয়রানি থেকে পরিত্রাণ চাই এবং চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের পক্ষথেকে এসব অপকর্মের তীব্র নিন্দা জানাই।


