বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।
মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদেরকে ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাচতে চাই’, সার্জিস-হাসনাতের উপর হামলা কেন, জবাব চাই দিতে হবে’, ‘ইসকনের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘উগ্রবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ইসকনের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াইরত সকল ছাত্র সংগঠন মিলে সংহতি সপ্তাহ চলছে। ঠিক সেই সময়ে হাসনাত ও সাজিসের গাড়ি বহরে হত্যার উদ্দেশে ট্রাক দিয়ে হামলা করে।
আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে ভারতের করদরাজ্যে পরিণত করেছিলো। অবৈধ নির্বাচনের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ভারতকে বিভিন্ন অবৈধ সুবিধা দিয়েছে।
দীর্ঘ আন্দোলনে হাসিনাকে হটালেও ভারতে আশ্রয় নিয়ে সে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত তাদের কর্তৃত্ব হারানোর বিষয় না মানতে পেরে সনাতনি ভাইদের দাবার গুটি বানিয়েছে। সারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে ইসকন হিন্দু সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না। জুলাই বিপ্লবে সব ধর্মের সবাই মিলে স্বৈরাচার সরিয়েছি।
এখন একসাথে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করবো। যারা ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলবে তাদের কেন হুমকির মুখে পড়তে হবে।
আমরা হাসিনাকে সরাইছি কিন্তু ভারতে এজেন্ট আমাদের মাঝে এখনো রয়ে গেছে। সরকারের কাছে ইসকনের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। তারা ব্যর্থ হলে ছাত্ররা সেই দায়িত্ব হাতে নিবে। হাসনাত, সারজিসকে হামলা করে সবাইকে দমানো যাবে না।
আমরা হাসনাত-সারজিসের উপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।