
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, চলতি মাসেই ২০০ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থীদের গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হবে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এনসিপির সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা হচ্ছে। তবে বিএনপি আর এনসিপি জোটভুক্ত হবে কি না, সেটা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে। যদিও জোটভুক্ত হওয়ার বিষয়ে এনসিপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জোটভুক্ত হলে দলগুলো অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারতেন। এটি পরিবর্তনে সম্মতি ছিল অধিকাংশ দলের। আমরা আশ্বস্ত ছিলাম, কিন্তু যেভাবে আরপিও পাস হলো, তাতে আকারে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবে না।
আগামী নভেম্বরের মধ্যেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
এদিকে, বিএনপির হাইকমান্ড বলছে এবার শুধুই পরিচিতি দিয়ে মনোনয়ন মিলবে না। প্রার্থী হতে হলে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় এবং রাজনৈতিক ত্যাগ ও তিতিক্ষা থাকতে হবে। কোনোনোভাবেই বিতর্কিত, নিষ্ক্রিয় কিংবা সুযোগসন্ধানীরা যেন প্রার্থী হতে না পারেন, সেজন্যই এমন প্রক্রিয়ায় তারা হাঁটছেন।
ময়মনসিংহ-১০ আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আক্তারুজ্জামান বাচ্চু ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘দল যেটা ভালো মনে করবে, সেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা তা মেনে নেব। আমরা চাই আন্দোলনে যারা সক্রিয় ছিলেন, তাদের মধ্য থেকে যাতে কেউ মনোনয়ন পান। আমরা বিশ্বাস করি, দল জনপ্রিয়, ত্যাগী ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী বেছে নেবে।’
৫০টির বেশি আসনে একক প্রার্থী থাকায় সেগুলো নিয়ে অনেকটা নির্ভার বিএনপি। তবে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন এমন আসনের নেতাদের ঢাকায় ডেকে কথা বলছেন বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। একক প্রার্থী নিশ্চিতের টার্গেট নিয়ে কাজ করা নেতারা ডাক পাওয়াদের দিচ্ছেন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বার্তা। কোনোভাবেই দল মনোনীত প্রার্থীর বাইরে যাওয়া যাবে না- এমন কড়া নির্দেশনাও দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।