শনিবার দুপুরে গাবতলী উপজেলার নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নের চাকলা গ্রামে এঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত হৃদয় হোসেন গোলজার নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক। তবে তিনি বলেছেন সালিশ করতে গিয়ে ধাওয়ার মুখে পড়লে তার সহযোগীরা মারধর করেছে।
পুলিশ জানায়, চাকলা গ্রামের বেলুছ মন্ডল নামের এক ব্যক্তি ৭ থেকে ৮ মাস আগে ভিয়েতনামে যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে তাকে ভ্রমন ভিসায় পাঠানো হয়েছে। কোন কাজ না পেয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। বেলুছ মন্ডলকে ভিয়েতনামে পাঠাতে সহযোগিতা করেছেন
গাবতলীর সুখানপুকুর ইউনিয়নের চামুরপাড়া গ্রামের মৃত অমেদ আলীর ছেলে সিএনজি চালক আব্দুল হান্নান। হান্নানের ভায়রা মামুন দীর্ঘদিন ধরে ভিয়েতনামে থাকেন। ভিয়েতনাম পাঠানোর ব্যাপারে বেলুছ মন্ডল টাকা লেনদেন করেন হান্নানের সাথে। দেশে ফিরে বেলুছ মন্ডল টাকা ফেরত চাইলে হান্নান তাল বাহানা শুরু করেন। শনিবার সকাল সাত টার দিকে হান্নান সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে নাড়ুয়ামালা আমতলা আসলে বেলুছ মন্ডলের লোকজন তাকে অটোরিকশা সহ ধরে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে আটকে রাখে। খবর পেয়ে হান্নানের ছোট ভাই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে লোকজন নিয়ে চাকলা গ্রামে বেলুছ মন্ডলের বাড়িতে যান।এসময় নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা হৃদয় হোসেন গোলজার বেলুছ মন্ডলের বাড়িতে যান। সেখানে আলোচনা চলাকালে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এলাকার বাসিন্দা জিল্লুর রহমান বলেন, বেলুছ মন্ডলের বাড়িতে দু’পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হওয়ার এক পর্যায় চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে হাজির হন। তিনি কোন কথা না শুনেই এলোপাথারি মারপিট শুরু করেন। এসময় তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ছয়জনকে আহত করেন।
আহতরা হলেন- বাবুল আকন্দ (৪৫), খুকি বেগম (৭০), আবুল আকন্দ (৫৫), বিউটি বেগম (৪০), আ: হান্নান (৪০) এবং পান্না (৩৮)। আহতদের মধ্যে বাবুল ও খুকিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা হৃদয় হোসেন গোলজার বলেন, চাকলা গ্রামেই আমার বাড়ি। থানা পুলিশের অনুরোধে আমি বেলুছ মন্ডলের বাড়িতে যাই। বেলুছ মন্ডলকে ভিয়েতনামে ভাল চাকরি দেয়ার কথা বলে হান্নান টাকা নিয়েছে তিন লাখ ৭৫ হাজার। হান্নান তার ভায়রার মাধ্যমে বেলুছ মন্ডলকে ভিয়েতনামে ভ্রমন ভিসায় পাঠায়।সেখানে কোন কাজ না পেয়ে বেলুছ মন্ডল ফিরে আসেন। হান্নানকে এলাকায় পেয়ে বেলুছ মন্ডলের লোকজন তাকে ধরে আনে। আমি ঘটনাটি মিমাংসা করতে গেলে হান্নানের গ্রাম থেকে আসা লোকজন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তিনি বলেন আমার গ্রামে এসে তারা আমাকেই ধাওয়া করে।এসময় আমার সাথে থাকা লোকজনের মারপিটে কয়েকজন আহত হন।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিক ইকবাল বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে আমি যেতে বলেনি।
মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেয়। আহতদের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।