স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবঃ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পাহাড়ে চলমান সশস্ত্র তৎপরতাসহ সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অন্যতম প্রধান কারণ অত্র অঞ্চলের চাঁদাবাজি।ব্যাপকহারে চাঁদাবাজির কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়তই সংঘাত সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটির বিজিবি সেক্টর সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি বন্ধ করা না গেলে পার্বত্য চট্টগ্রামে সহিংসতা বন্ধ করা যাবে না। কোট স্যুট পরা লোকেরাই বড় বড় কথা বলে পার্বত্যাঞ্চলে সন্ত্রাসী তৎপরতা জিইয়ে রাখে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোন অবস্থাতেই এসব চাঁদাবাজি সন্ত্রাস কর্মকান্ড বরদাশত করা হবে না। কঠোর হাতে এদের দমন করা হবে এবং কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সাংবাদিকদের সাথে প্রেস বিফ্রিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়াতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় মিডিয়া মিথ্যা বলায় চ্যাম্পিয়ন। তাদের কিছু মিডিয়ার কাজই হচ্ছে বাংলাদেশকে নিয়ে মিথ্যা প্রচার করা
বাংলাদেশের মিডিয়ায় সত্য প্রচারের মধ্যদিয়ে এর জবাব দিতে হবে। এর আগে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা। এসময় তিনি স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আজ (বৃহস্পতিবার) ১১টার দিকে বিজিবি'র হেলিকপ্টারযোগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পার্বত্য উপদেষ্টা রাঙামাটির বাঘাইহাট এলাকায় ৫৪ বিজিবির বাঘাইহাট ব্যাটালিয়ান এবং সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোন পরিদর্শন করেন। তখন তিনি পূর্ব পরিচিত স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন। এরপর তিনি বাঘাইহাট থেকে দুপুর ১টার দিকে ২৭ বিজিবি'র সাজেক বিওপিতে পৌঁছান। সেখানে বিজিবি'র ক্যান্টিন সীমান্ত শৈলিতে স্থানীয় হেডম্যান (মৌজা প্রধান), কার্বারীর (পাড়া প্রধান) সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।
এছাড়াও সাজেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আগুন নির্বাপনের গুরুত্ব বিবেচনায় সাজেকে অস্থায়ীভাবে আপাতত ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি নিয়োজিত রাখার জন্য ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালককে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেঃ জেনারেল মোঃ সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেঃ জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেঃ জেনারেল মোঃ ইয়াছির জাহান হোসেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আবু নোমান সরকার'সহ রাঙামাটির জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।