অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে চারঘণ্টা ধরে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের মোশাররফ আলী মিয়ার বাজার এলাকায় ঘটনার সূত্রপাত হয়। রাত ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এর আগে খবর পেয়ে স্থানীয় বাহারছড়া ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর চড়াও হন বিএনপিকর্মীরা। পুলিশ সদস্যরা উপকূলীয় জেনারেল হাসপাতালে আশ্রয় নেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে পশ্চিম বাঁশখালী দারুল ইসলাহ মাদ্রাসা মসজিদে পবিত্র কুরআন ক্লাসের আয়োজন করে ইসলামী ছাত্রশিবির।
শিবিরের অভিযোগ, তাদের কর্মসূচিতে বাধা দেন স্থানীয় ছাত্রদলকর্মীরা। পরে ছাত্রদলকর্মী নয়ন ও তানভীরের নেতৃত্বে ১০-১২ জন গিয়ে কর্মসূচিতে হামলা চালায়।
বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে মীমাংসার জন্য সন্ধ্যায় বিএনপি ও জামায়াতকর্মীরা মোশাররফ আলী মিয়ার বাজারে জড়ো হন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে চারজন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিএনপিকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান। পুলিশ সদস্যরা পালিয়ে উপকূলীয় জেনারেল হাসপাতালে আশ্রয় নেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিকালে শিবিরের কর্মসূচিতে একজনকে জোর করে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপিকর্মীরা। এর জের ধরে জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’
তবে পুলিশের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন ওসি।

