
নিহত নিশির গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম হাফিজুর রহমান। তারা বর্তমানে মিরপুর-২ এলাকা থাকেন।
রোববার সকালে নিশি আত্মহত্যা করেন। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে জরুরি জাতীয় সেবার ফোন নাম্বার ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পায় পুলিশ।
এরপর তারা গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে নিশির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান বলে জানিয়েছেন ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান।
ওসি বলেন, আমরা রোববার সন্ধ্যার দিকে খবর পেয়ে ওই বাসায় যাই এবং গিয়ে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। এরপর সেটি ভেঙে নিশির মরদেহ উদ্ধার করি। পরে মরদেহটি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) মরদেহটি নিহতের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওসি বলেন, মেহেদীকে আমরা গতকাল রোববার থেকে পাচ্ছি না। কারণ তার ফোন নম্বরও নেই। নিশির ব্যাগ থেকে একটি কাবিননামা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি হত্যা কি না সেটাও তদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
এদিকে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছে, নিশির সঙ্গে সজল নামে এক প্রবাসীর সাড়ে তিন বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে আড়াই বছরের এক সন্তান রয়েছে। তিন মাস আগে নিশির সঙ্গে সজলের বিচ্ছেদ হয়। এরপর এক মাস আগে পরিবারকে না জানিয়ে নিশি মেহেদীর হাত ধরে বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলেই বের হয়ে আসেন। এরপর তারা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মানিকদিতে যে বাসা বাড়া নিয়ে থাকতেন তা নিশির পরিবার জানতো না।
রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট থানা থেকে ফোনে কল আসে। জানানো হয়, নিশি নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর স্বজনরা গিয়ে মরদেহটি শনাক্ত করেন। আজ তারা মরদেহ বুঝে নিয়ে কবরস্থ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নিহতের বোন জামাই আশরাফ উদ্দিন বলেন, মেহেদী নিশিকে বিয়ে ও চাকরির প্রলোভনে বাসা থেকে বের করে নিয়ে এসেছিল। মেহেদীর গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়। আমরা তার বিচার চাই। নিশিকে মেহেদী ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। কারণ তাদের মধ্যে কোনো বিয়ে হয়নি। বিয়ে ছাড়াই তারা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো। মেহেদী এ ঘটনার পর পলাতক।
