রাজধানীর হাজারীবাগের মনেশ্বর লেনে সাইকেল চুরিতে বাধা দেওয়ায় সাহাদাৎ হোসেন শান্ত (১৭) নামের এক কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. শুকুর আলী (২২), মো. সিয়াম (২০) ও মো. শাকিল হোসেন (২৩)। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে গ্রেফতার সিয়াম হাজারীবাগের মনেশ্বর প্রথম গলির ৫ নম্বর বাসার নিচতলায় বাইসাইকেল চুরির জন্য প্রবেশ করে। ঠিক সেই সময় বাসার মালিক আজাদ নিচতলায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখতে পান একজন চোর বাসার ভেতরে প্রবেশ করে নিচতলায় থাকা বাইসাইকেল চুরির চেষ্টা করছে।
সেসময় তিনি চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে সাহাদাৎ হোসেন শান্ত ও তার কয়েকজন বন্ধু চোর ধরার জন্য আজাদের বাসার দিকে যায়। তাদের দেখে আসাদ চুরি করা বাইসাইকেল ফেলে দৌড়ে নতুন রাস্তা চাঁনপুর মসজিদের গলির মো. শুকুর আলীর বাসায় প্রবেশ করে।
শান্ত ও তার বন্ধুরা সিয়ামকে ধাওয়া করতে করতে ওই বাসায় প্রবেশ করে। রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে বাসায় প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে শান্তকে সিয়াম এবং ওই বাসায় আগে থেকে অবস্থান করা মো. শাকিল হোসেন জাপটে ধরে। এরপর শুকুর আলী ধারালো ছুরি দিয়ে শান্তকে মারাত্মকভাবে আঘাত করলে মেঝেতে পড়ে যায়।
তার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করলে তাদেরও এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে দুর্বৃত্তরা।
ডিসি তালেবুর রহমান আরও বলেন, একপর্যায়ে শান্তর বন্ধুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে।
ততক্ষণে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে শান্তর মা সংবাদ পেয়ে ছেলেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
তিনি আরও বলেন, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকাল ১০টার দিকে মারা যায় শান্ত। সংবাদ পেয়ে হাজারীবাগ থানা পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা শান্তা ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।