গ্রেফতার দু’জন হলেন – সাইফুল ইসলাম ও গোলজার হোসেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভুক্তভোগী নারীকে চুলের মুঠি ধরে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এরপর তাকে নারী-পুরুষ মিলে অন্তত পাঁচজন লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান। এ ঘটনায় বদরগঞ্জ থানায় শনিবার সকালে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
অভিযোগ পাওয়ার পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে লাঠিপেটা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রোববার রাতেই মামলাটি গ্রহণ করে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর স্বামী অনেক বছর আগে মারা গেছেন। বৃদ্ধা মা ও ছেলেকে নিয়ে তিনি সেখানে থাকেন। শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশে ওই নারীর জমিতে কেটে রাখা ধান গরু নষ্ট করে।
এ নিয়ে প্রতিবেশী গোলজার হোসেনের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এ ঘটনার জের ধরে বিকেলের দিকে গোলজার হোসেন কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে তাকে লাঞ্ছিতসহ লাঠিপেটা করেন। তাদের বাধা দেওয়ায় ওই নারীর বৃদ্ধা মাকেও পেটান অভিযুক্তরা। পরে অন্য প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক শাকির মোবাশ্বির জানান, দুই নারীকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। এতে ভুক্তভোগী নারীর মায়ের মাথা ফেটে গেছে। আর ভুক্তভোগী নারীর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আতিকুর রহমান জানান, এই ঘটনায় করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাতেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।