চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার আতুরারডিপো পেয়াজু গলির মো. আকাশ (২২) নামে এক দোকান কর্মচারীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত একটি ধারালো চাপাতি। তবে কি কারণে ওই যুবকের ওপর সশস্ত্র হামলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে তা জানানো হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরের একই থানা এলাকার হিলভিউ রহমান নগর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক দুইজন হলেন : সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থানার কালাঘর এলাকার মৃত মুকবুল হোসেনের ছেলে মো. জুলহাস (১৯) এবং কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার আলম বাজার এলাকার শাহ আলমের ছেলে মো. শাহীন আলম (১৯)।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১০টার দিকে আতুরারডিপো পেয়াজু গলির আজিজ মার্কেটের মুখে হাজারী বস্ত্র বিতান নামে একটি কাপড় দোকানের কর্মচারি আকাশকে চাপাতি দিয়ে কোপায় গ্রেপ্তার দুইজন। এতে আকাশের ডান হাতের কব্জি, বাঁ পায়ের হাঁটু ও পিঠের গুরুতর যখম হয়।
এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালায়।
ঘটনাস্থলের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার একটি ফুটেজে দেখা গেছে, আকাশকে প্রকাশ্যেই চাপাতি দিয়ে কোপাচ্ছেন জুলহাস।
এ সময় আকাশ বাঁচার আকুতি জানিয়ে চিৎকার করছিলেন। একের পর এক আঘাত করে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে জুলহাস এবং শাহীন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান জানিয়েছেন, গতকাল আকাশ নামে এক দোকান কর্মচারীকে প্রকাশ্যে কোপানোর ঘটনায় আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ধারালো একটি চাপাতিও উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভিকটিম আকাশকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তিনি সেখানের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভিকটিমকে কোপানোর কারণ জানতে চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি অফিসার ইনচার্জ (ওসি)।