শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর ধান গবেষণা রোডে স্থানীয়রা তাকে গ্রেপ্তার করে গণধোলাই দেয়।
এরপর রাত ৮টার দিকে বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
তবে নিহতের স্বজনরা বলছে যে পূর্ব শত্রুতার জেরে সুজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর বাবা শনিবার সন্ধ্যায় থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে ভুক্তভোগীকে একটি রান্নার পাত্র ফেরত দিতে প্রতিবেশী সুজনের বাড়িতে পাঠানো হয়। তখন ঘরের খোলা দরজা দিয়ে ওই শিশু ভেতরে প্রবেশ করে। ওই সময় ঘরে সুজন একা অবস্থান করছিলেন এবং তিনি শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। তখন ভুক্তভোগী মেয়েটি চিৎকার দিলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
পরে সন্ধ্যায় নগরীর ধান গবেষণা রোডে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণধোলাই দেয় এবং অভিযুক্ত রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ বিষয়ে এসআই মানিক সাহা বলেন, লাশ শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী শিশুর বাবার করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।