নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সাইদুল (৩৮) নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। এসময় অপহৃত কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে সাইদুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার মোহনগঞ্জ পৌরশহর থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেফতার সাইদুল উপজেলার সহিলদেও গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি আলিম মাসরাসায় শিক্ষকতা করেন।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মার্চ রাতে সাইদুলের ছোট ভাই জয় (২২) গ্রামের ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে ওই কিশোরীর অভিভাবকরা জয়ের বাড়িতে গিয়ে কিশোরীকে ফেরত নিতে চায়। তখন জয়ের ভাই সাইদুল (৩৮), মাহাবুব মিয়া (৩৬) ও বাবা বজলু মিয়া (৫৫) তাদের নানা ধরনের খুন-জখমের হুমকি দিয়ে বিদায় করে তাড়িয়ে দেয়। পরে ওই কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে যেতে জয়কে সহায়তা করে তার পরিবারের লোকজন। বিভিন্ন এলাকায় কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে জয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর চাচা বাদী হয়ে গত ৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগ দেন। এতে জয়সহ তার ভাই সাইদুল, মাহাবুব ও বাবা বজলু মিয়াকে আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ ও এসবে সহায়তার অভিযোগ করা হয়েছে। আদালত মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করার জন্য মোহনগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেন। পরে গত ২২ এপ্রিল মামলাটি থানায় রেকর্ডভুক্ত করা হয়।
এদিকে জয় ওই কিশোরীকে নিয়ে পলাতক থাকলেও মামলার অপর আসামি সাইদুলকে গতকাল মঙ্গলবার আটক করে পুলিশ। পরে সাইদুলের দেওয়া তথ্যে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। একই দিনে জয় আদালতে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সাইদুলকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অপহরণকৃত কিশোরীর তথ্য পাই। পরে কিশোরীকে উদ্ধার করে জবানবন্দির জন্য আদালতে হয়েছে। একই দিন প্রধান আসামি জয় আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।