শনিবার (৭ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দেওদীঘি এলাকার ফয়েজুর রহমান সওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দিদারুল আলম ওই এলাকার মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে। তার পরিবারে স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক ছেলে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের ছোট ভাই মো. শহীদের ভাষ্য অনুযায়ী, শনিবার রাতে পরিবারের সবাই দিদারের ছেলের বিয়ে নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
এমন সময় জসিম, সারোয়ার, সাইফুল, ওসমান, তাহের, বেলাল, হানিফ, বাদশাসহ শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। তাহের প্রথমে লোহার রড দিয়ে দিদারকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর বেলাল তার বুকের উপর পা দিয়ে আঘাত করতে থাকে এবং সারোয়ার বুকের উপর বসে থেকে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
উদ্ধার করে দ্রুত সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মসজিদ কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে শহীদের দাবি ‘তার ভাই মসজিদ কমিটিতেও নেই, তিনি নিরীহ ও অসুস্থ ছিলেন।’
ঘটনার পর সাতকানিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন : সরওয়ার আজম (৫১), নাজিম উদ্দিন (৩৫), নুরুল আজিম ওরফে বাদশা (৩৪) এবং সাইফুল আজম (৪২)।
গ্রেপ্তাররা সবাই দেওদীঘি এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মোট ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত ও অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।