স্টাফ রিপোর্টার : টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পূর্ব গোভনীয়া গ্রামের জামে মসজিদ সংলগ্ন ব্রিজটির গোড়ার মাটি সরে যাওয়ায় শনিবার বিকেলে ভেঙে যায় ব্রিজটি।
এতে পার্শ্ববর্তী আমবাড়ীয়া ও গোভনীয়া গ্রামের প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি মানুষের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। চাঁদপুর-গোভনীয়া সড়কটি নারয়ণহাট-ফটিকছড়ির সংযোগ সড়ক রয়েছে।
জানা যায়, মিরসরাই পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোভনীয়া ছড়ার উপরে প্রায় ২০ বছর পূর্বে পুরাতন একটি পিলারের ওপর বেইলি ব্রিজটি নির্মাণ করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
চাঁদপুর-গোভনীয়া সড়কটি মিরসরাই ও ফটিকছড়ি উপজেলার সাথে সংযোগস্থাপনকারী আঞ্চলিক সড়ক। সড়কটি দিয়ে পাহাড়ি এলাকায় উৎপাদিত শাক সবজি ছাড়াও কাঠ, বাঁশ, বালু বোঝাই ভারী যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে।
যোগাযোগের দ্রুততার জন্য পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়ি উপজেলার অনেক পণ্য ও মানুষের চলাচল করেন এই সড়ক দিয়ে।
গত ৬জুন ভারি বৃষ্টি হলে পুরাতন ব্রিজটির বেইজ ধসে পড়লে বেইলি ব্রিজের ওপর পুরোপুরি চাপ পড়ে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষ সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানানোর পর গত ১ মাস আগে ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তবে গত কয়েক দিন আবারো ভারী বর্ষণের পর শনিবার বিকেলে ব্রিজটির একাংশ কাত হয়ে গিয়ে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
বর্তমানে প্রায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে বাদামতলী আমবাড়িয়া সড়ক হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্থানীয়রা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের আঞ্চলিক প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজের বিষয়ে আমরা অবগত আছি। এটি সংস্কারের জন্য আমাদের সবরকম প্রস্তুতিও ছিল। তবে ভারি বৃষ্টি ও ছড়ায় প্রবল স্রোতের কারণে কাজ শুরু করা যায়নি।
আবহাওয়ার উন্নতি হলে আমরা ব্রিজটির সংস্কার কাজ শুরু করতে পারব।
মীরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মীরসরাই পৌরসভার প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুর-গোভনীয়া সড়ক ও বেইলি ব্রিজটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে।
আমি বিকেলে (শনিবার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ব্রিজটি দ্রুত সময়ে পুনঃনির্মাণ বা সংস্কারের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সওজকে লিখিতভাবে চিঠি দেব। পাশাপাশি ডিসি স্যারকেও এ বিষয়ে অবহিত করব।