অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ীকে মো. সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় আটক প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিনের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) মামলার শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এই আদেশ দেন।
এদিন পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মহিনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ফের ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১০ জুলাই সোহাগ হত্যা মামলায় মহিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এছাড়া ১২ জুলাই মামলার আরেক আসামি টিটন গাজীরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
পাশাপাশি গত ১৩ জুলাই অন্য দুই আসামি আলমগীর ও মনিরের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এরপর ১৪ জুলাই আরও দুই আসামি সজীব ব্যাপারী ও মো. রাজিব ব্যাপারীকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে পাঠানো হয়।
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে, কুপিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁলতে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
ওই ঘটনায় পরের দিন ১০ জুলাই নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞান আসামি করে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটিতে এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। ওই ব্যবসার আধিপত্য নিয়েই এই হত্যাকাণ্ড বলে জানা গেছে।