স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনকে বৃহস্পতিবার রাতে ও ২৫ জনকে এর আগেই আটক করা হয়েছিল।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মোট ৪৫ জন আটক রয়েছেন, যাদের থানায় রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ সরাসরি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।
ওসি আরও জানান, সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের খাটিয়াগড় চরপাড়া এলাকায় পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহমদ বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এতে ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৪০০-৫০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে আটক ব্যক্তিদের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আদালতে না তোলার বিষয়ে ওসি বলেন,‘“আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী দ্রুততম সময়েই তাদের আদালতে হাজির করা হবে।’
এ আগে বুধবার (১৬ জুলাই) এনসিপির পদযাত্রাকে ঘিরে গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হন। সংঘর্ষে আটজন গুলিবিদ্ধ হন।
ঘটনার পর বুধবার রাতেই পুরো জেলায় কারফিউ জারি করে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিভাগের কমিশনার সরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ ছিল এবং বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আংশিক শিথিল করা হয়েছে।
তবে হতাহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
