pressbd24
ঢাকারবিবার , ২০ জুলাই ২০২৫
  1. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কৃষি ও পরিবেশ
  9. খেলাধুলা
  10. চট্রগ্রাম প্রতিদিন
  11. জবস
  12. জাতীয়
  13. ট্যুরিজম
  14. ড. মুহাম্মদ ইউনূস
  15. তথ্য প্রযুক্তি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণ চক্রের পাঁচ সদস্য অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
জুলাই ২০, ২০২৫ ৬:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণ চক্রের ৫ সদস্যকে অস্ত্র-গুলিসহ আটক করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার আসামিরা শুক্রবার (১৮ জুলাই) অটোরিকশা চালক পাভেল চাকমা অপহরণ এবং দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের লামার বাজার সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

গ্রেফতার অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা হলেন : চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের আবদুল হাকিম পাড়ার নুরুল কবিরের ছেলে আব্বাস উদ্দিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল হাকিম ভুট্টোর ছেলে সাকিবুল ইসলাম (২২), সফি আলমের ছেলে ফরহাদ মিয়া (১৯), একই উপজেলার ডেমুশিয়া এলাকার মৃত ইউনুছ আহাম্মদের ছেলে মো. রবিউল হোসেন (২৭), সাহাব উদ্দিনের ছেলে মো. তাওসিফ (১৯)।

এই সময় ১টি দেশীয় তৈরি পাইপ গান, ৩টি শটগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হরিখোলা এলাকার বাড়ি থেকে পাভেল চাকমা অটোরিকশা নিয়ে বের হন। তিনি পার্শ্ববর্তী বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর স্টেশনে ভাড়ার সিরিয়াল দিতে গাড়ি নিয়ে রওনা দেন। পথিমধ্যে হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের সোনালী ব্যাংক ঢালা নামক এলাকায় পৌঁছলে পাহাড় থেকে নেমে আসা একদল অস্ত্রধারী তার গাড়িটি গতিরোধ করেন। পরে পাভেল চাকমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায়।

শুক্রবার ৯১৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের সোনালী ব্যাংক ঢালা নামক এলাকায় অপহৃত যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান।

পাভেল চাকমা টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হরিখোলা চাকমা পাড়ার বাসিন্দা মৃত চন্দ্রমনি চাকমার ছেলে।

স্বজনদের বরাতে তিনি বলেন, সকালে ঘটনাটি শোনার পর থেকে পুলিশ অপহৃতকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দিতে স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে কয়েক দফা যোগাযোগের দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণে অপহৃতকে ছেড়ে দিতে রাজী হয়।

অপহরণকারীদের কথা মতো মুক্তিপণের টাকা নিয়ে পাহাড়ের বিশেষ একটি এলাকায় যান। অপহরণকারীদের হাতে দাবি করা দেড় লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অপহৃত চাকমা যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করে। এর মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে কয়েকজন আসামি টেকনাফ থেকে চকরিয়া যাওয়ার উদ্দেশে লামার বাজারের মেরিন ড্রাইভে অবস্থান করছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করে।

ভিকটিম পাভেল চাকমা এদের অপহরণ মামলার ঘটনার সাথে আসামি মর্মে শনাক্ত করেন। আসামিদের সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হচ্ছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।