মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তারা এমন কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
এর আগে, বিকালে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে এসব গণঅবস্থানকারীরা পদযাত্রা বের করেন। পরে শাহবাগ মোড়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ।
পরে সেখানে সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান মো. আনিছুর রহমান বলেন, সিরিয়াতে পরিবর্তনের পর বাথ পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জার্মানিতেও পতনের পর নাৎসিবাদ ও ইতালিতেও ফ্যাসিবাদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নামক জঙ্গি সন্ত্রাসী সংগঠনকে এখন পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আজ মঙ্গবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পিলখানা হত্যাযজ্ঞ দিবস।
এদিনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ‘গ’ শ্রেণীর শহীদ সেনা দিবস করা হয়েছে। আমরা বলছি, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘ক’ শ্রেণীর জাতীয় শোক দিবস করতে হবে। কারণ ২০০৯ সালের এদিন ৫৭জন দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তার ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা সরকার, তাদের দোসর ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর এজেন্টরা।
আমরা জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সরকারের কাছে দাবি জানাই আপনারা অবিলম্বে সেনাকর্মকর্তাদের হত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন।
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সাংগঠনিক প্রধান শফিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ সবসময়ই ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় তৎপর ছিল। তারা গণতন্ত্রের নাম করে বারবার ফ্যাসিবাদের দিকেই অগ্রসর হয়। এই ফ্যাসিবাদ আবার ফিরে আসবে, আবার একটা গণহত্যা চালাবে এটা আমরা কখনোই হতে দেব না।
পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দাবি দাওয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরতে আগামীকাল বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সময় দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ সময়সূচি জানান। এরপর আন্দোলনকারীরা পদযাত্রা শেষ করে রাজু ভাস্কর্যের গণঅবস্থানে ফিরে যান।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজু ভাস্কর্যে জুলাই গণহত্যা, পিলখানা ও শাপলা চত্বরে হত্যাযজ্ঞ চালানোর দায়ে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও মিত্রদের নিষিদ্ধের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে। এ কর্মসূচি থেকে এ পর্যন্ত বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীপরিষদ, উপদেষ্টা এবং নবম থেকে দ্বাদশ সংসদের সদস্যদের ফ্যাসিস্ট ঘোষণা করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিদিন সর্বস্তরের নাগরিকদের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান মো. আনিছুর রহমান, সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমান, সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান, আব্দুস সালাম, ডা. মাসুম বিল্লাহ, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব ইশতিয়াক আহমেদ ইফাত, সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম, হামিম হোসাইন শুভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়াতুল্লাহ, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম সাকিব প্রমুখ।