বাইরে থেকে সম্পর্ক যতই ঠাণ্ডা দেখাক, মাঠে দুই দলের মধ্যে উত্তাপের ঘাটতি নেই। সূর্যকুমার যাদবের দল এখনো টুর্নামেন্টে অপরাজিত, আর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার আত্মবিশ্বাস তো আছেই। তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম চোখে পড়ার মতো। শেষ ৩২ ম্যাচে হেরেছে মাত্র তিনটিতে!
অন্যদিকে, বাংলাদেশ কিছুটা হোঁচট খেলেও এখনো ফাইনালের স্বপ্ন দেখছে। আজ ভারতকে হারাতে পারলে সেই স্বপ্ন আরও জোরালো হবে। আর কাল পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার আগে একটা বড় জয় পাওয়া মানেই আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা!
বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স তাই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ভারতকে হারানো অসম্ভব নয়। নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে, আর ভারতের ভুলগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।’
তবে কাজটা সহজ হবে না। ভারতের মতো দলের বিপক্ষে জিততে হলে নিখুঁত হতে হবে তিন বিভাগেই—ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে যেমন তাওহীদ হৃদয়, শামীম মিস করেছিলেন ক্যাচ, মুস্তাফিজ-শরীফুলের ফিল্ডিংয়েও ছিল ঢিলেমি, এগুলো চলবে না আজ।
দুবাইয়ের স্লো পিচে শরীফুলের বদলে আজ দেখা যেতে পারে আগ্রাসী পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে।
ওপেনিংয়ে থাকবেন তানজিদ ও সাইফ, তিনে লিটন, এরপর হৃদয়, শামীম আর জাকের আলী। তবে লিটন নিজেই মাঝেমধ্যে কৌশল বদলাতে ভালোবাসেন, তাই একজন বাড়তি অলরাউন্ডার হিসেবে সাইফুদ্দিন সুযোগ পেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ- লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, শরীফুল ইসলাম/তানজিম সাকিব, নাসুম আহমেদ/সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ।
ভারত সম্ভাব্য একাদশ- অভিষেক শর্মা, শুভমান গিল, সাঞ্জু স্যামসন, সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), তিলক ভার্মা, শিভম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, জসপ্রিত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী।