শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোরে চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকা থেকে মাসুমকে গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের ডিসি তালেবুর রহমান।
শাহবাগ থানা সূত্র জানায়, গত ২১ নভেম্বর বিকেলে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী স্বপন সাহা নামে একজন অভিযোগ করে চুরি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শান্তা কনস্ট্রাকশনের মালিক স্বপন সাহা একজন রিয়েল এস্ট্রেট ব্যবসায়ী। ২১ নভেম্বর স্বপন সাহা সকালে তার ড্রাইভারকে নিয়ে তার গাড়িযোগে প্রথমে মতিঝিলের একটি ব্যাংক থেকে ২০ লাখ ও পরে গুলশানের একটি ব্যাংক থেকে পাঁচ লাখসহ ২৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। পরে তিনি বাসার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। পথে স্বপন সাহা তার পরিচিত এক ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা দেন। বিকেলে বাসার নিচে গ্যারেজে গাড়ির ভেতরে একটি ব্যাগের মধ্যে বাকি ২৪ লাখ টাকা রেখে ড্রাইভারকে খাবার খেয়ে আসার জন্য বলে স্বপন সাহা বাসায় চলে যান। বিকেল পৌনে চারটার দিকে ড্রাইভারকে দ্রুত গাড়ির কাছে আসতে বললে তিনি গাড়ির কাছেই আছেন বলে জানান। পরে স্বপন সাহা বিকেল সোয়া চারটার দিকে বাসা থেকে গ্যারেজে এসে দেখেন ড্রাইভার গাড়ির পাশে নেই। তখন সিকিউরিটিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, ড্রাইভার গাড়ি থেকে একটি ব্যাগ নিয়ে বাইরে চলে গেছে। স্বপন সাহা তখন ড্রাইভারের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তখন স্বপন সাহা বাসা থেকে গাড়ির অপর একটি চাবি এনে গাড়ির দরজা খুলে দেখেন গাড়ির ভেতরে রাখা ব্যাগসহ ২৪ লাখ টাকা নেই। ড্রাইভারের ভাড়া বাসায় খোঁজাখুজি করেও তাকে বা তার পরিবারের কাউকে খুঁজে পাননি তিনি। এমনকি গ্রামের বাড়িতে যোগাযোগ করেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরে তিনি শাহবাগ থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় চট্টগ্রাম ডিবি পুলিশের সহায়তায় চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার একটি বাসা থেকে ব্যবসায়ী স্বপন সাহার চুরি হওয়া ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় তার চালকের সহাযোগী মাসুদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এঘটনার পর থেকে সেই চালক পলাতক রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত মাসুদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।