pressbd24
ঢাকামঙ্গলবার , ১১ নভেম্বর ২০২৫
  1. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কৃষি ও পরিবেশ
  9. খেলাধুলা
  10. চট্রগ্রাম প্রতিদিন
  11. জবস
  12. জাতীয়
  13. ট্যুরিজম
  14. ড. মুহাম্মদ ইউনূস
  15. তথ্য প্রযুক্তি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘মেজর ইকবাল’ গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
নভেম্বর ১১, ২০২৫ ১০:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন চৌধুরী প্রকাশ মেজর ইকবালকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রাউজান উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইকবাল একই গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে এই তথ্য জানান রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, অস্ত্রসহ অবস্থান করছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন চৌধুরী প্রকাশ মেজর ইকবাল নামে ওই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তার কাছ থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি এবং অস্ত্র থাকার কথাও তিনি স্বীকার করেননি। তাকে পুরোনো মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

ওসি জানান, মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন চৌধুরী প্রকাশ মেজর ইকবালের বিরুদ্ধে অন্তত ৪০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু মামলায় তিনি জেলও খেটেছেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে, যার মধ্যে ছয়টি হত্যা মামলা।

পুলিশ জানায়, আগে ইকবাল আওয়ামী লীগের রাউজান আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি রাউজানে বিএনপির এক নেতার ছত্রছায়ায় এলাকায় অবস্থান করছিলেন।

১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবর এবং রাউজান কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) মজিবুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসব খুনের ঘটনার মধ্য দিয়েই মেজর ইকবালের নাম আলোচনায় আসে।

১৯৯৩ সালে পূর্ব গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোসেনকে ব্রাশফায়ারে হত্যার প্রধান আসামি করা হয় মেজর ইকবালকে। রাউজানে দুই ভাই টিটু ও মিঠুকে একসঙ্গে হত্যা, মুক্তিযোদ্ধা নিহার কান্তি বিশ্বাসকে হত্যা, ছাত্রলীগের জেলা নেতা ইকবাল ও জামিল এবং ফটিকছড়ির শ্যামল ও আমান নামের দুই ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার মামলারও আসামি ছিলেন ইকবাল।

সর্বশেষ ২০১০ সালে সাত বছর জেল খেটে তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর দুবাই গিয়ে আরও সাত বছর পলাতক থাকেন। কয়েক বছর আগেই তিনি এলাকায় ফিরেছেন। তখনই এই ভয়ংকর সন্ত্রাসীর দেশে ফেরার কারণ অনুসন্ধানে ছিল পুলিশ প্রশাসন, মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্যও।

পুলিশ জানায়, ফেরার পর থেকে মেজর ইকবাল প্রকাশ্যে চলাফেরা করায় সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত রাউজানে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইকবালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের দাবি, বড় একটি ঘটনা ঘটানোর জন্যই ইকবালকে দেশে আনা হয়েছে এবং তাকে আনার পেছনে রাউজানের সংসদ সদস্য (এমপি) এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর হাত ছিল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাউজানের একজন বাসিন্দা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের আগে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে মেজর ইকবালকে একাধিকবার দেখা গেছে। আরেক ভয়ংকর সন্ত্রাসী আজিজও সেখানে প্রায়ই যাতায়াত করতেন। দুজনের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

সে সময় রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে র‌্যাবের একটি দল গিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের ধরতে সেখানে গিয়েছিল তারা। ওই সময়ে তিনি বিএনপির এক শীর্ষ নেতার বোনকে বিয়ে করেন।

২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি মেজর ইকবাল গ্রেফতার হয়েছিলেন। সে সময় হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মেজর ইকবালের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা ছিল।

বন্দিজীবনে নতুন করে আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে মেজর ইকবালের। বন্দি থাকাকালীন তিনি কারাগারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। এ কারণে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে তাকে বেশ কয়েকবার কুমিল্লা ও সিলেট কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

এদিকে একে একে সব মামলায় জামিন পেলেও তিনি দীর্ঘদিন স্বেচ্ছায় কারাগারে ছিলেন। ২০১০ সালের ৩১ মার্চ আদালত থেকে হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহার হলে একই বছরের ২ এপ্রিল তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। ওই সময় কারাফটক থেকে ইকবালকে আবারও হেফাজতে নিতে চেয়েছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী একটি বাহিনীর সদস্যরা।

তবে একজন জনপ্রতিনিধি নিজের গাড়িতে করে ইকবালকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন। সে যাত্রায় বেঁচে যাওয়ার পর তিনি দুবাই পাড়ি জমান।

বিগত জীবনে অনেক দুঃসময় পার করে আসতে হয়েছে মেজর ইকবালকে। হত্যার শিকার হতে হয় তার ভাই ইস্কান্দরকে। ১৯৯৯ সালের দিকে হালিশহরের একটি বাসা থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

এরপর ইস্কান্দরের দুই মেয়ের লাশ উদ্ধার হয় পুকুর থেকে। ভাইয়ের এ অবস্থা দেখে মেজর ইকবাল প্রতিশোধপরায়ণ ও হিংস্র হয়ে ওঠেন।

একদিন মোটরসাইকেল নিয়ে চলার পথে তাকে থামিয়ে ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষ কুখ্যাত সন্ত্রাসী বিধান বড়ুয়ার অনুগতরা। এতে তার পেটের বড় অংশ কেটে যায়। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার পেটে ‘মেজর’ অর্থাৎ বড় ধরনের অপারেশন হয়। সেই থেকেই অপরাধ জগতে তার নাম হয়ে যায় মেজর ইকবাল!

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।