শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। চলছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করছে দেশের খ্যাতনামা সাংস্কৃতিক সংগঠকরা।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের ভিড়। মঞ্চ থেকে একটু পরপর ভেসে আসছে দৃঢ় কণ্ঠের উচ্চারণ- ‘এবারের ভোট হোক, ন্যায়-ইনসাফের পক্ষে, এবারের ভোট হোক দাঁড়িপাল্লার পক্ষে।’
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিগত নির্বাচনের নানা অনিয়ম, সংঘাত আর বঞ্চনার চিত্র উঠে আসছে নাট্যাংশ, আবৃত্তি ও গানের মধ্য দিয়ে।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ব্যবহৃত হচ্ছে দলীয় ভাবনাভিত্তিক সাহিত্যচিত্র। যেখানে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি। একটি গান উঠে আসে ভোরের আকাশ ভেদ করে- “ছিন্ন ভোটের স্বপ্নগুলো, ফিরে পেতে চাই আবার, দাঁড়িপাল্লা হাতেই নেব, ইনসাফ করবো এবার।”
সমাবেশে আগতরা পরিবেশনাগুলোকে স্বাগত জানাচ্ছেন স্লোগান আর করতালির মাধ্যমে। অনেকের চোখে দেখা যায় আবেগ। কেউ কেউ স্মরণ করছেন অতীতের হারানো গণতন্ত্রের দিনগুলো।
দলীয় সংগঠকরা জানান, এ ধরনের পরিবেশনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনতার সঙ্গে গভীর সংযোগ তৈরি এবং রাজনৈতিক বার্তা আরও গভীরভাবে উপস্থাপন। এতে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে “ন্যায় ও ইনসাফ”। দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’র মাধ্যমে যা প্রতিফলিত হচ্ছে।
নির্বাচনের ইতিহাস ঘিরে তৈরি এসব সাংস্কৃতিক উপস্থাপনাগুলো যেন একটি নীরব প্রতিবাদ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, বঞ্চনার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি এটিও একটি আহ্বান-জনগণের কাছে, যেন তারা আগামী নির্বাচনে চিন্তা করে ভোট দেন, দেন সত্য ও ইনসাফের পক্ষে।
সমাবেশে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য শুরুর আগে সাংস্কৃতিক পরিবেশনাগুলো একদিকে যেমন অংশগ্রহণকারীদের উজ্জীবিত করছে, অন্যদিকে তৈরি করছে একটি চিন্তাশীল আবহ। যা রাজনৈতিক কর্মসূচিকে দিচ্ছে ব্যতিক্রমী রূপ।