অনলাইন ডেস্ক : গত কয়েক মাস ধরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় অতিষ্ঠ ঢাকাবাসী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ কাজে চাপাতি এবং মোটারসাইকেল ব্যবহার করে ছিনতাইকারীরা। শঙ্কার বিষয় হলো, ছিনতাইয়ের জন্য এ দুটি জিনিসই নাকি ভাড়ায় পাওয়া যায়!
সম্প্রতি রাজধানীর শ্যামলীতে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা হলেন : কবির, আল আমিন ও আসলাম।
কয়েকদিন আগে শ্যামলীতে এক উপজাতি যুবকের পরনের জুতা, গেঞ্জি ও মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে তা বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এই ঘটনার পর টনক নড়ে প্রশাসনের।
ডিবি বলছে, এই ছিনতাইয়ের সময় আসলাম ও আল আমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। আর কবির হলেন ছিনতাইকারী চক্রটির মূলহোতা। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে জানিয়ে ডিবি। ছিনতাইকারী চক্রটি জানিয়েছে, তারা চাপাতি ও মোটরসাইকেল ভাড়া দেয় মাঠপর্যায়ের ছিনতাইকারীদের। দৈনিক ভাড়ায় এসব চাপাতি ও মোটরসাইকেল নিয়ে ছিনতাইয়ে নামে ছিনতাইকারীরা।
শর্ত থাকে, ছিনতাই শেষে মালামাল বিক্রির পর ভাড়ার টাকা দিলেই হবে। তবে ছিনতাই করা মালামাল চক্রটির কাছেই বিক্রি করতে হবে। এসবকে প্যাকেজ বলেন ছিনতাইকারী চক্রটি।
গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রাকিব খান বলেন, ‘এমন ছিনতাইকারী চক্র আগে চিহিৃত হয়নি, এই প্রথম। তারা ছিনতাইয়ের জন্য চাপাতি আর মোটরসাইকেল ভাড়া দেয়।’
শুধু তাই নয়, দলের কোনো ছিনতাইকারী গ্রেফতার হলে তাকে ছাড়াতে বা জামিন করাতে তার পরিবার ও তাকে অর্থ দেওয়া হয় বলেও ডিবির তদন্তে উঠে এসেছে। তবে সে অর্থ দেওয়া হয় ঋণ হিসেবে। সেই ঋণের উপর আবার নেওয়া হয় সুদ।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রাকিব খান আরও বলেন, ‘চক্রটির কোনো সদস্য গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গেলে জামিনের বিষয়ে অগ্রিম টাকা-পয়সাও দেয় চক্রটি। এ জন্য এ চক্রে অনেক সদস্য।’