
২০১৭ সালের একটি ভিডিওতে রুবি স্বীকার করেন সালমানকে হত্যা করা হয়েছে। এবং তিনি এই হত্যার সঠিক বিচারের জন্য সাক্ষ্য দিতেও প্রস্তুত। রুবির কথায়, ‘সালমানকে খুন করা হয়েছে। এই খুনের বিষয়ে আমি সব জানি। যেভাবেই হোক আবার যেন মামলা তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। আমি যেমন করেই হোক আদালতে সাক্ষ্য দেব।’
সালমানের মাকে উদ্দেশ করে রুবি বলেন, ‘ইমন আত্মহত্যা করে নাই, তাকে খুন করা হইছে। নীলা ভাবি (নীলা চৌধুরী) দয়া করে কিছু একটা করেন। আমার হাজব্যান্ড (স্বামী) এইটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। সামিরার পরিবার এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আমার ছোট ভাই রুমিরে দিয়া খুন করানো হয়েছে। রুমিকেও খুন করা হয়েছে। আমি জানি না রুমির কবর কোথায় আছে। রুমির লাশ যদি কবর থেকে তুলে ঠিকমতো আবার পোস্টমর্টেম করে তাহলে দেখা যাবে যে ওরা গলা টিপে মেরে ফেলছে। ওরা আমারেও খুন করার চেষ্টা করছে। এই কেস যেন না শেষ হয়।’
সেসময়ে লন্ডনে অবস্থানরত সালমান শাহর মা নিলুফার চৌধুরী বলেছিলেন, ‘তার এ বক্তব্যের পরে বলার আর কোনো অপেক্ষা রাখে না যে আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছিল। আমি জানতাম এই দিনটা আমার আসবে। রুবি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় আছে। তাকে নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হোক। আর রুবি যাদের নাম বলেছে, তাদের এখনই আটক করা হোক।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিচার চাই। এত বছর আমি হতাশায় ভুগছি। দেশে আমারও নিরাপত্তা নেই। যার কারণে আমি লন্ডনে আছি।’
১৯৯৬ সালে সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন অভিনেতার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। কিন্তু সালমান শাহর পরিবার দাবি করেন, এটি কোনোভাবেই আত্মহত্যা নয়। দীর্ঘদিনের দাবির পক্ষে রায় দিয়েছেন রাজধানীর মহানগর দায়রা জজ আদালত।
গত ২০ অক্টোবর সালমানের মা নীলা চৌধুরীর আবেদন মঞ্জুর করে হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এরপর থেকে সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
