সোমবার (১৩ জানুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশনে শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ‘এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইরাব)’ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
এসময় ইরাব সভাপতি আকতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুছা মল্লিক, দপ্তর সম্পাদক রুম্মান তূর্য, কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল হাই তুহিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমদিকে আমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। পাঠ্যবই নিয়ে কাজ করা কর্মকর্তারা বলেছিলেন সব বই নির্ধারিত সময়েই পাবে। কিন্তু পরবর্তীতে শেষদিকে দেখলাম পাঠ্যবই হাতে পৌঁছে দিতে এখনও অনেক কাজ বাকি।
তিনি আরও বলেন, প্রথমদিকে আমরা আর্ট পেপার পাচ্ছিলাম না। কাগজের সংকটও ছিল। পরবর্তীতে ছাত্র প্রতিনিধি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যদের সহায়তায় আর্ট পেপারের সমস্যাটা সমাধান হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, কিছু আর্ট পেপার ঘাটতি আছে। (আর্ট পেপার নিয়ে) বিদেশ থেকে জাহাজ রওনা হয়ে গেছে। আশা করছি জানুয়ারির শেষ দিকে জাহাজ এসে পৌঁছাবে।
সাক্ষাৎকালে শিক্ষা সংস্কারে ইরাবের সহযোগিতা কামনা করেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এর আগে ৭ জানুয়ারি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা (বই ছাপা) কার্যক্রম শুরু করেছি দেরিতে। আমাদের বই পরিমার্জন করতে হয়েছে। বইয়ের সিলেবাস, কারিকুলাম নতুন করে করতে হয়েছে। বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিদেশে কোনো বই ছাপানো হচ্ছে না। দেশের সক্ষমতা কত সেটা এবারই প্রথম দেখা যাচ্ছে। এতে করে তো দেরি হবেই।
আগের সরকারের আমলে মার্চের আগে পুরোপুরি বই দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।