চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে পুলিশের ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শকদের (এসআই) আমরণ অনশন অব্যাহত আছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল থেকে সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন তারা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, চট বিছিয়ে বসে আছেন ২৫ জনের মতো অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআই। কেউ কেউ প্ল্যাকার্ড বিছিয়ে বসে আছেন।তাদের মধ্যে নারীরাও রয়েছেন।
এর আগে অব্যাহতিপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শকরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এরপর তাদের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে প্রবেশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু কর্মকর্তারা তাদের দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস দেননি। তাই বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেন তারা। সচিবালয়ের ১ ও ২ নম্বর গেটের বিপরীত পাশে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের দিকের সড়কে অনশনে বসেছেন তারা।
নয়ন বসাক বলেন, শীতের কষ্ট ছাড়া রাতে কোনো সমস্যা হয়নি। আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। এ অন্যায়ের প্রতিকার না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশনে থাকবো। আমরা আশা করছি সরকার আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবেন।
অব্যাহতি এসআই নয়ন চন্দ্র দাস বলেন, আমরা অন্যায় করলে এত কষ্ট সয়ে দাবিতে অটল থাকতাম না। সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। আশা করছি সরকার আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেবে।
অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা জানান, ট্রেনিং থেকে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদ ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে তারা ৩২১ জন সাব-ইন্সপেক্টর গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র সচিব দেখা করে দাবির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ তারা দেখতে পাননি। সেজন্য সোমবার ফের তারা অবস্থান কর্মসূচি পালনে এসেছিলেন। এরপর ফলপ্রসূ আলোচনা না হওয়ায় শুরু করেন অনশন কর্মসূচি।
৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচে প্রশিক্ষণের জন্য মোট ৮২৩ জন ছিলেন। গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে তারা রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করেন। তাদের মধ্যে চার ধাপে ৩১৩ জন এসআইকে মাঠে ও ক্লাসে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে শোকজ করে একাডেমি। ইতিমধ্যে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।