শুক্রবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ। এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে ওই শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিলনসহ তার দুই সহযোগীকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ্ আল মিলন পৌর এলাকার কলেজ রোডের বাসিন্দা। ওই শিক্ষার্থী আলফাডাঙ্গার একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর সাথে এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ছাত্রদল নেতা এ ব্যাপারে বাধা সৃষ্টি করে। এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরের দিকে ওই শিক্ষার্থী ছাত্রদল নেতা মিলনের বাড়িতে যায়। এসময় মিলন ওই ছাত্রীকে ঘরের ভেতর নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাকে ছেড়ে দেয় ছাত্রদল নেতা। এরপর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওই শিক্ষার্থী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলন (২৬) ও তার দুই সহযোগী রবিউল ইসলাম (৩৪) এবং সোহেল শেখের (৩৩) নামে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলন বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসিয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসাইন বলেন, এ ঘটনার ভিডিও আমার কাছে এসেছে এবং বিষয়টি ফেসবুকেও দেখেছি। এটা ষড়যন্ত্র নাকি সত্য খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনাটি সত্য হলে ওই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশীদ বলেন, এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আব্দুল্লাহ আল মিলনসহ তার দুই সহযোগীর নামে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।