চট্টগ্রামের চন্দনাইশে খালাতো বোনের মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে কক্সবাজারের রামু থানার রশিদনগর ইউনিয়নের কাদমার পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মো. রাসেল। তিনি বলেন, ‘চন্দনাইশে খালাতো বোনের মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনকে কক্সবাজারের রামু থেকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।’
এর আগে, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকার নানার বাড়িতে কলেজ শিক্ষার্থী তামান্না নাহিদ ইয়া ওরফে আরজু আক্তারকে হত্যা করে পালিয়ে যায় তার আপন খালাতো মামা নাজিম উদ্দিন।
একই সঙ্গে ওই কলেজ শিক্ষার্থীর তরুণীর নানা ৭০ বছর বয়সী আব্দুল হাকিম ও নানী ৬০ বছরের ফরিদা বেগমকে কুপিয়ে জখম করেন তিনি। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত আরজু ওই উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের কাঞ্চননগর গ্রামের বাসিন্দা। আর অভিযুক্ত নাজিম উদ্দিন নিহত তরুণীর মায়ের আপন খালাতো ভাই এবং সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত ছৈয়দ আহমেদের ছেলে।
জানা যায়, নিহত পটিয়া সরকারি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আরজু আক্তারের নানা আব্দুল হাকিমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। তিন মামাই বিদেশে থাকেন।
আরজু আক্তার ঈদের ছুটিতে নানা বাড়ি বেড়াতে আসেন। আরজুর মায়ের আপন খালাতো ভাই নাজিম উদ্দিনও ঘটনার দিন রাতে তার খালা ফরিদা আক্তারের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ঘটনার দিন রাতে তারা খাবার শেষে যে যার মতো ঘুমাতে চলে যায়। পাকা ঘরের দ্বিতীয় তলায় তিন ছেলের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। আর নিচতলায় আব্দুল হাকিম, ফরিদা, আরজু ও নাজিম।আরজু তার নানী ফরিদা বেগমের সাথে তার কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন।
রাত অনুমানিক ২টার দিকে আরজু আক্তারকে তার শয়নকক্ষে দেখতে না পেয়ে তার নানা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে টয়লেটের মেঝেতে আরজু আক্তারের মুখে ওড়না ঢুকানো এবং গলায় পেচানো অবস্থায় দেখতে পাওয়া পায়।
এসময় তিনি ডাক-চিৎকার শুরু করলে নাজিম তাকে ও তার স্ত্রীকে দা দিয়ে গুরুতর জখম করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পুলিশের ধারণা, তরুণীকে ধর্ষণের পর টয়লেটের ভেতর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি নানা-নানি দেখে ফেলায় তাদেরও গলায় কুপিয়ে জখম করা হয়।